সংক্ষিপ্ত
- চিনে মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা
- প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন কলকাতার গৃহবধূ
- ঢাকুয়িরার বাসিন্দা সুপর্ণা মুখোপাধ্যায়
- ৪৪ বছর বয়সি সুপর্ণা দুই সন্তানের মা
বিবাহিত মহিলাদের বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা। আর তারই চূড়ান্ত পর্বে ৮৮টি দেশের মধ্যে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছেন কলকাতার সুপর্ণা মুখোপাধ্যায়। দুই সন্তানের মা সুপর্ণা শনিবারই চিনের গুয়াংঝাউ রওনা হচ্ছেন। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে সেখানেই বিশ্বসুন্দরীর শিরোপা জিতে নেওয়ার লক্ষ্যে লড়াই শুরু হবে তাঁর।
ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা সুপর্ণা বাংলা থেকে সম্ভবত প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিলেন। চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে স্বভাবতই বেশ উত্তেজিত চুয়াল্লিশ বছরের এই বধূ। নিজেই জানালেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তাই নিজের জন্য তো বটেই, দেশের জন্যও সেরার শিরোপা নিয়েই ফিরতে চান।
দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সুপর্ণা। ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে পড়াশোনার পর মুরলিধর গার্লস কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স করেন তিনি। এর পরে ভারতীয় বিদ্যা ভবন থেকে জনসংযোগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন সুপর্ণা। চিনের লড়াইতে হিংসা দমন প্রকল্প নিয়ে নিজের মতামত পেশ করার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু মানদণ্ডে অন্যান্য় প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়তে হবে সুপর্ণাকে। ২০১৭ সালে মিসেস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেন তিনি। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে মিসেস এশিয়া প্যাসিফিক খেতাবও জেতেন তিনি। বর্তমানে একজন গ্রুমিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন সুপর্ণা।
নিজের পেশাগত ব্যস্ততার ফাঁকেই সংসারের টুকিটাকি সব বিষয় সামলান সুপর্ণা। ছেলে, মেয়েকেও দিতে হয়ে সময়। সংসারের মধ্যে পুরোপুরি জড়িয়ে গেলেও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি তিনি। জানালেন, পেশা হিসেবে পার্সোনাল গ্রুমিং তাঁর প্যাশন। সুপর্ণার কথায়, 'কোনও দিনও ভাবিনি মিসেস ইউনিভার্স-এ সুযোগ পাবষ। সেখানে গিয়ে অংশ নেব ভাবতেও পারিনি। তাই এটা আমার কাছে সারাজীবনের সুযোগ। দু' বছর অপেক্ষা করার পর এই সুযোগ পেয়েছি। তাই হাতছাড়া করতে চাই না।' সুপর্ণা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর পরিবার সবসময়ই তাঁর পাশে থেকেছে। কোনও কিছুতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
২০১৭ সালে মিসেস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেন সুপর্ণা। তাঁর মতে, ওই সাফল্যই তাঁকে আরও বড় মঞ্চে পৌঁছনোর জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে মিসেস এশিয়া প্যাসিফিক খেতাবও জেতেন তিনি। এর প্রায় দু' বছরের মাথায় এল বড় সুযোগ।