সংক্ষিপ্ত
- শুক্রবার মাঝরাত থেকেই টালা ব্রিজ পুরো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল
- কারণ ব্রিজের নতুন প্ল্য়ানে, আপত্তি জানানো হয়েছিল রেলের তরফে
- এদিকে টালা ব্রিজ ভাঙা হলে যানজটের অসুবিধায় পড়তে পারে শহরবাসী
- তাই রাজ্য় প্রসাশন ও রেলের তরফে বিকল্প রাস্তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
শুক্রবারই পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না টালা ব্রিজ। ব্রিজ সম্পূর্ণ বন্ধ করার দিন এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়নি। ব্রিজের নতুন প্ল্য়ানে আপত্তি জানানো হয়েছিল রেলের তরফে। তাই বৃহস্পতিবার রাজ্য ও রেলের বৈঠকে টাস্কফোর্স তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত রেল ও রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা টাস্কফোর্সে থাকবেন।
আরও পড়ুন, চারদিন আগে বৃদ্ধের মৃত্যু, দেহ আগলে বাড়িতে বসে থাকল ছেলে
আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল জানুয়ারি মাসে টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে। ৩ জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার মাঝরাত থেকেই টালা ব্রিজে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নবান্ন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত থেকেই পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না টালা ব্রিজ। টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হলে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং ব্যবহার করতে দেওয়া হবে বলে রেল জানিয়েছে। অপরদিকে, রাজ্য সরকারও যার জন্য ১৪ কোটি টাকা রেলকে দেবে বলে জানিয়েছে। তবে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং ব্যবহার নিয়ে রেলমন্ত্রকের চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে রাজ্যের কাছে ৩ দিন সময় চেয়েছে রেল।
আরও পড়ুন, পৌষে অঝোর ধারায় ভিজল তিলোত্তমা, তাপমাত্রা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী
এদিকে রাজ্য় প্রসাশন সূত্রে জানানো হয়েছে, টালা ব্রিজ ভাঙা হলে যানজটের প্রবল অসুবিধায় পড়তে পারে শহরবাসী। রেলের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে, টালা ব্রিজ ভাঙার সময় গাড়ি যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ হিসাবে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, লক গেট উড়াল পুল দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বাস। পি কে মুখার্জি রোড দিয়ে যাতায়াত করবে লরি। বারাকপুর থেকে কলকাতার দিকে আগত বাস গুলি বিটি রোড থেকে দমদম চিড়িয়া মোড় হয়ে শ্য়ামবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অপরদিকে পণ্য়বাহী গাড়িগুলিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে আসতে বলা হয়েছে। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরেও চলাফেরা করা যাবে। তবে টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ না করা পর্যন্ত ছোট রুটে অটো চালানো যাবে বলে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের তরফে।