সংক্ষিপ্ত
- তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন মহম্মদ সেলিম
- রাজ্য়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে রামকৃষ্ণ,বিবেকানন্দের উদাহরণ দেন
- এবার বিবেকানন্দ নিয়ে সেলিমকে পাল্টা খোঁচা দিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়
তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিম। রাজ্য়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দের উদাহরণ দেন তিনি। এবার সেই বিবেকানন্দ নিয়ে সেলিমকে পাল্টা খোঁচা দিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।
টুইটার যুদ্ধে এবার মুখোমুখি সেলিম-তথাগত। সেলিমের বক্তব্যকে খণ্ডন করতে এবার বিবেকানন্দের উদাহরণ দেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। টুইটারে তথাগত রায় বলেন, 'কমরেড মহম্মদ সেলিম নাকি ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও স্বামীজিকে উদ্ধৃত করে বলেছেন,ওঁরা কোনো ধর্মকে ঘৃণা করার কথা বলেননি | এর চেয়ে কাম্য আর কিছুই হতে পারে না। কিন্তু দুঃখ হয় এই ভেবে,যে কমরেডরা বলতেন,বিবেকানন্দ চাকরি না পেয়ে সন্ন্যাসী হয়েছিল। তারা এখন তাঁকেই উদ্ধৃত করতে বাধ্য হচ্ছে।'
টুইটারের নিয়ম ভাঙায় রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিমের অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করেছে টুইটার। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সিপিএমের এই নেতা। তিনি বলেন, টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না। সম্প্রীতির বার্তা দিতে যাওয়ায় তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ৫ অক্টোবরের একটা টুইটকে নিয়ে রাজনীতিকরণ করেছে বিজেপির আইটি সেল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। সিপিএমের এই ডাকসাইটে নেতা বলেন, 'রাজ্যে পুজোর সময় একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে টুইটারে বার্তা দিয়েছিলাম। মূলত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রয়াত কমরেড নেতা জ্যোতি বসুকে উদ্ধৃত করে কটা লাইন লিখেছিলাম। রাজ্যে মনে হয়েছে ক্রমাগত হিংসার উস্কানি চলছে। সেই পরিস্থিতিতে সবাইকে সংযত থাকতে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। আমার এই টুইট ঘিরে নাকি দাঙ্গা হাঙ্গামা ছড়াবে?'
সম্প্রতি টুইটারে জ্যোতি বসুর পুরোনো উদ্ধৃতি আওড়ান রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ। তিনি লেখেন,কমরেড জ্যোতি বসু বিজেপিকে বর্বর, অসভ্য দল বলেছিল। তাই বিজেপির বর্বরতা থেকে বাংলাকে বাঁচাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে রাজ্যবাসীকে। আমরা বিবেকানন্দ ,রামকৃষ্ণ পড়েছি। তাঁরা নিজেদের ধর্মকে ভালোবাসব বলে অন্যের ধর্মকে ধ্বংস করতে শেখাননি। যার পরিপ্রক্ষিতেই সেলিমকে খোঁচা দেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল।