সংক্ষিপ্ত
- শহরে ছোট একটা সিতারের দোকান,যার নাম হেমেন এন্ড কোং
- আর সেখানেই একটা সময় বাদ্য়যন্ত্র কিনতে এসেছিলেন বিটলস
- জর্জ হ্যারিসনও এই জীর্ণ স্টোর থেকে একটি সেতার কিনেছিলেন
- বদলে দোকানিকে একটি বিশাল জার্মান টেপ রেকর্ডার উপহার দেন
কলকাতার শিল্প, সংস্কৃতি এবং সংগীতের প্রতি তীব্র আবেগ নিয়ে শহরবাসীদের এখন আর অবাক করে না। কিন্তু এই শহরেরই একটি বাদ্য়যন্ত্রের দোকান থেকে যখন আন্তর্জাতিক মানের শিল্পীরা বাদ্য়যন্ত্র কেনেন তখন সত্য়িই অবাক হতে হয়। আর বিশেষ করে যখন স্বশরীরে বিটলস আসে শহরেরই একটি দোকানে বাদ্য়যন্ত্র কিনতে, তখন বোধয় সবাই এই শহরের প্রেমে নতুন করে পড়ে।
শহর কলকাতার রাসবিহারিতে অবস্থিত ছোট একটা সিতারের দোকান,যার নাম হেমেন এন্ড কোং। আর সেখানেই একটা সময় বাদ্য়যন্ত্র কিনতে এসেছিলেন বিটলস। আজ্ঞে হ্য়াঁ জর্জ হ্য়ারিসন,ইয়ান আন্ডারসন, ইহুদি মেনুহিন,পন্ডিত রবি শঙ্কর প্রায় সব বিখ্য়াত মানুষই এখানে এসেছেন তাঁদের বাদ্য়যন্ত্র কিনতে। তবে শুধু সেতার নয়, এখানে অন্যান্য জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র যেমন তানপুরা, সরোদ, গিটার এবং হারমোনিয়াম তৈরি হয়। তবে বিটলসের নিশ্চয়ই নতুন করে কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। কারণ আমরা সবাই বড় হয়ে বড় হয়েছি 'হে জুড', 'অল ইউ নিড ইজ লাভ' এই গান গুলি শুনে।
১৯৬৮ সালে জর্জ হ্যারিসন এই জীর্ণ স্টোর থেকে একটি সেতার কিনেছিলেন। আর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন এদের বাদ্য় যন্ত্র শিল্পের আশ্চর্য সব কাজে। তাই পরে অনুপ্রানিত হয়ে তিনি দুটি অ্যাকোস্টিক গিটারেরও অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু হেমেন এন্ড কোং-এর মালিক এই আইকনিক সংগীতকারের কাছ থেকে কোনও টাকা নিতে চাননি। যার ফলে তাঁকে 'ধন্যবাদ' স্বরুপ একটি বিশাল জার্মান টেপ রেকর্ডার দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আর কয়েক দশক ধরে, হেমেন অ্যান্ড কোং এখনও তাঁর গুণমান এক ভাবেই ধরে রেখেছে। নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা তাঁদের বাদ্য়যন্ত্রের আধুনিকরণ করেছে।