সংক্ষিপ্ত

 দেশ জুড়ে লাগাতার টানা দুই বছর ধরে করোনা সংক্রমণের জেরে  ২০ শতাংশ হকার উঠে গিয়েছে।  শহরে হকার সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনা হয়েছে বলে জানান  মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার।

 

'দাবি' না মানা হলে ফের আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি হকার সংগঠনের। এদিন কলকাতা পুলিসের সার্ভে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে হকারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, দেশ জুড়ে লাগাতার টানা দুই বছর ধরে করোনা সংক্রমণের জেরে  ২০ শতাংশ হকার উঠে গিয়েছে। অনলাইনে ব্যবসায় হওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হকারদের আয়। এদিন টাউন ভেন্ডিং কমিটির ( Hawker organisation ) বৈঠক থেকে বেরিয়ে এই কথা জানালেন হকার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শক্তিমান ঘোষ। এদিন তিনি জানান যে বৈঠকে নতুন কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে ৪ বছর আগে এই কমিটিতে হকারদের না রাখার ফলে কমিটি ভঙ্গ করে দিয়েছিল আদালত।  শুক্রবার কলকাতা পুরসভার চেম্বার কাউন্সিলে অস্থায়ী টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে শহরে হকার সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান হকার পুর্নবাসন বিভাগের মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার (Debasish Kumar)। 

এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন মেয়র পরিষদ মার্কেট আমীরুদ্দীন ববি ও হকার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শক্তিমান ঘোষ সহ অন্যন্য হকার সমিতির সদস্য রা। বৈঠকের পর দেবাশীষ কুমার মেয়র পরিষদ হকার পূর্নবাসন বিভাগের জানান যে কলকাতা পুর সভা ও কলকাতা পুলিশের হকার দের নিয়ে  ২০১৭-১৮ সালে  যৌথ সার্ভেকে পুরসভার ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখযোগ্য যে কলকাতা পুরসভার পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকছি নথিভুক্ত হকারদের সংখ্যা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে অন্দরে এই সার্ভে পাবলিক ডোমেইনে দিয়ে দেওয়া হবে। যদি কোনও পক্ষ সাধারণত মানুষ থেকে নিয়ে হকার সংগঠন বা অন্য কেউ তাদের আপত্তির কথা এই বিষয় নিয়ে জানতে পারবেন বলে এদিন জানান দেবাশীষ কুমার। তিনি জানান যে, এই ভেন্ডিং কমিটিতে ৪০ শতাংশ নির্বাচিত হকারদের প্রতিনিধিদের থাকার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে হকার সংগঠনরা ঠিক করবেন, তাদের কমিটিতে কারা থাকবেন। তবে যদি কারোর এই সার্ভে নিয়ে আপত্তি থাকলে তারা পুরসভার ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের আপত্তি জানতেন পারবেন।

তবে এদিন কলকাতা পুলিসের সার্ভে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে হকারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে। তাঁদের বক্তব্য, হকারদের নিয়ে তারা পুলিসের সার্ভে মানবেন না। আর এই কমিটিতে হকারদের নিয়ে নতুন করে কমিটি করার দাবি জানিয়েছেন তারা। আর যদি সেই দাবি না মানা হলে তারা আবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তারা। তবে একটা কথা পরিষ্কার যে ভাবে লকডাউনের পর থেকে বিভিন্ন জায়গা হকারদের হতে দখল হচ্ছে। সেটা টাউন ভেন্ডিং নিয়মের পরিপন্থী । তবে নতুন করে কলকাতা পুরসভার এই সার্ভে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করার ফলে যেসব জায়গায় বেআইনি হকার দখল করা হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়ে এবার সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ এবার পুরসভা কে সরাসরিভাবে জানতে পারবে এই সার্ভের মাধ্যমে। তবে প্রশ্ন একটাই যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে হকারদের বেআইনি দখল মুক্ত করা যাবে। না সেই আইনের ফাঁকে সেই সমস্যা সমাধানের অধরা থেকে যাবে।