সংক্ষিপ্ত
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই কলকাতা এবং শহরতলিতে আঁছড়ে পড়ছে কালবৈশাখী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসও ছিল যে ২ মে-এর পর থেকে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড় ও বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে।
সকাল হতেই উধাও তাপপ্রবাহের অসহয়নীয়াতা। তার বদলে শহরের উজ্জ্বল আকাশ মুখ ঢাকলো ঘন কালো মেঘের আস্তরণে। সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতা শহরজুড়ে নামল কালবৈশাখী। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজল তিলোত্তমা এবং কলকাতার আশপাশের শহরতলি। এমনকী, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগণা থেকেও একই ধরনের আবহাওয়ার খবর এসেছে। ৩ মে এমনিতে ইদ। কলকাতায় এলাকায় এলাকায় ইদের নমাজ পড়ার অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু, কালবৈশাখীর হানায় সেই সব অনুষ্ঠান স্থগিত করতে হয়।
ইদের দিন সকালে যে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই যে কালবৈশাখী দফায় দফায় আঁছড়ে পড়বে তা আবহাওয়ার পূর্বাভাসেই বলা হয়েছিল। যার ফলে এখন পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে কলকাতা এবং তার শহরতলিতে ঘণ্টায় কিছুক্ষণের জন্য ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। হাওড়া-হুগলি থেকে বর্ধমান, মেদিনীপুর, বীরভূম এবং বাঁকুড়া, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ থেকেও সকালে কালবৈশাখীর আঁছড়ে পড়ার খবর মিলেছে। এই সব জেলাতেও ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আপাতত এই ধরনের আবহাওয়া চলবে। ফলে মার্চ মাস থেকে যে প্রবল দাবদাহ শুরু হয়েছিল এবং এপ্রিলে তা চরমে পৌঁছেছিলো সেই পরিস্থিতি থেকে আপাতত রেহাই মিলেছে। এর প্রমাণ মিলেছে তাপমাত্রা নিম্নগামি হওয়ায়। যেখানে দিন কয়েক আগেও তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি এবং তার থেকে বেশি। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেই তাপমাত্রা এখন নেমে এসেছে ৩৫ ডিগ্রির নিচে। বাতাসে গড়পড়তা আদ্রতার পরিমাণ ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশের মধ্যে। আবহাওয়া দফতরের মতে গ্রীষ্মের এই সময়ে এই তাপমাত্রা এবং আদ্রতা এক্কেবারেই স্বাভাবিক।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গ তীব্র দাবদাহে পুড়লেও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে এই ধরনের পরিস্থিতি খুব বেশি দিন ধরে সহ্য করতে হয়নি উত্তরবঙ্গের মানুষকে। এপ্রিলের মাঝে এক থেকে দুদিনের জন্য এমন তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টি এবং ঝড়ে সেই আবহাওয়া পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়। এরপর থেকেই লাগাতার ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে সব জেলাতেই এখন কম-বেশি ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গ তীব্র দাবদাহে পুড়লেও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে এই ধরনের পরিস্থিতি খুব বেশি দিন ধরে সহ্য করতে হয়নি উত্তরবঙ্গের মানুষকে। এপ্রিলের মাঝে এক থেকে দুদিনের জন্য এমন তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টি এবং ঝড়ে সেই আবহাওয়া পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়। এরপর থেকেই লাগাতার ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে সব জেলাতেই এখন কম-বেশি ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে। এখানে তাপমাত্রার যা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাতে মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির উপরেই থাকবে। তবে, ডুয়ার্স এবং দার্জিলিং জেলায় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচেই থাকবে বলে পূর্বাভাস। খোদ শৈলশহর দার্জিলিং-এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যেই থাকার কথা বলা হয়েছে। ডুয়ার্সে গরম মাঝে মাঝে অসহনীয় লাগতে পারে। তবে, এই পরিস্থিতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। হালকা পশলা বৃষ্টি তাপমাত্রার গতিকে আটকে দেবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- আমেরিকাতে টর্নেডোর দাপট, লন্ডভন্ড বিস্তীর্ণ এলাকা
আরও পড়ুন- ফের আমফানের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হতে পারে বাংলা, কবে আছড়ে পড়বে জানেন?
আরও পড়ুন সূর্যের তাপে তেরি ফুলকো রুটি , রান্নার গ্যাসও এখন অতীত- ভিডিওটি নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়ায়