সংক্ষিপ্ত
এবার পাল্টা দুর্নীতিকেই (corruption) হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গ্রেফতারের দাবি শাসক দলের। সোমবার ও মঙ্গলবার কর্মসূচি ঘোষণা টিএমসির (TMC)।
গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পরও এসসি থেকে টেট নানা দুর্নীতি ইস্যুতে অনেকটাই কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু আক্রমণ শানানোই নয় আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে বিরোধীরা। কলকাতা হাইকোর্টের একের পর পর রায়ও অস্বস্তি বাড়িয়েছে সরকারের। এবার সেই দুর্নীতিকেই পাল্টা হাতিয়ার করে ময়দানে নামতে চলেছে শাসক দল। আর তাদের নিশানায় বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এবার রাস্তায় নামতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। শুধু আন্দোলনে নামাই নয় তাকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে ঘাসফুল শিবির। এই ইস্যুতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ্যও হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত বাদল অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তৃতায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। তারপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারউপর শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে এসে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন সাংবাদিকদের কাছে বলেন তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমন কী তাকে ব্ল্যাকমেলও করা হত বলে জানান সারদা কর্ণধার। এর আগেও জেল থেকে লেখা চিঠিতেও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। শুক্রবার সারদা কর্তার এহেন মন্তব্যের পরই কোমড় বেধে ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার প্রকাশিত তৃণমূলের কর্মসূচিতে সরাসরি সারদা-কাণ্ডের নাম বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, শুভেন্দুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে তাঁরা রাস্তায় নামবেন। মমতা ও সুদীপ্তর অভিযোগকে হাতিয়ার করেই নন্দীগ্রাম বিধায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন তৃণমূল নেতারা।
দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারির দাবিতে শাসক দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনের যে রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে, তাতে সোমবার বিকেল তিনটি জায়গায় একযোগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হবেন তৃণমূল নেতারা। প্রথম বিক্ষোভটি হবে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরের সামনে। দ্বিতীয় বিক্ষোভটি হবে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে। কারণ সেই অঞ্চলে শুভেন্দু অধিকারীর যথেষ্ট প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়েছে। আর তৃতীয় বিক্ষোভটি হবে শুভেন্দুর বাড়ির এলাক কাঁথিতে। প্রতিটি বিক্ষোভেই উপস্থিত থাকবেনন শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। আবার মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু-সহ শাসকদলের আট জন প্রতিনিধি যাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে। ফলে দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ আগামি বেশ কয়েকদিনে আরও বাড়বে তা বলাই যায়।