সংক্ষিপ্ত

'আজ নারদা মামলায় আমরা হাজির হয়েছি, জর্জ সাহেব কথা শুনেছেন', শুক্রবার  নারদ মামলার শুনানিতে 'ব্যক্তিগতভাবে' হাজিরা দিলেন মদন মিত্র।  খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা রুটের ট্রাম বন্ধ ইস্যুতে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

 

'আজ নারদা মামলায় (Narada Case)  আমরা হাজির হয়েছি, জর্জ সাহেব কথা শুনেছেন', শুক্রবার  নারদ মামলার শুনানিতে 'ব্যক্তিগতভাবে' হাজিরা দিলেন মদন মিত্র (TMC Leader Madan Mitra) । উল্লেখ্য, আমফানের পরে খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা রুটের ট্রাম বন্ধ। মাঝেমধ্যেই খিদিরপুর ট্রাম ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখায় একাধিক সংগঠন। এদিন ওই রুটের ট্রাম বন্ধের ইস্যুতে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি (Madan Mitra)।

 'আমরা মেনে চলবো'-নারদা মামলা ইস্যু

নারদা মামলার ইস্যুতে মদন বলেছেন, 'আজ নারদা মামলায় শুনানি হয়েছে । জর্জ সাহেব কথা শুনেছেন । তিনি রায় দেবেন। আমাদের সকলকে আজ হাজির থাকতে বলেছিলেন ।আমরা ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়েছি। আমাদের যেভাবে মেনে চলতে বলেছে, আমরা সেই ভাবেই মেনে চলবো।' প্রসঙ্গত, ১৭ মে সকালে আচমকাই ৪ নেতা-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ কাণ্ডে তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেস। তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। সেখানে চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর করা হয়। তখনই শর্ত দেওয়া হয়েছিল, নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে হবে এই চার নেতা-মন্ত্রীকে। যদিও পরে  অনেক মতবিরোধ শেষে জামিন পান তাঁরা। যদিও মামলা চলাকালীনই প্রয়াত হন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

'আমরা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি'

অপরদিকে, সম্প্রতি কল্যাণ-অভিষেক ইস্যুতে জলঘোলার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'দলের মধ্যে অন্তর্কলহ থাকলে বাইরে বলা যাবে না। দলকে জানাতে হবে। এনিয়ে মদন মিত্র বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কথা বলেছেন। প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল থাকলে বলবেন না। এবং দলের মধ্যেও বলা ঠিক হবে না। যার কথা তার কাছে গিয়ে বলবেন। আমরা সবাই ভাই বোন প্রকাশ্যে কোনো কথা বলা উচিত নয় দলের বিরোধী। আমরা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি। তিনি যতদিন সুস্থ আছেন, তিনি আমাদের সুপ্রিমো।'

খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা রুটের ট্রাম বন্ধ, কী বার্তা মদনের

 আমফানের পরে খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা রুটের ট্রাম বন্ধ। মূলত খিদিরপুর ট্রাম ডিপোর সামনে ট্রাম লাইন এর একটি তারের উপর গাছ পড়ে ছিড়ে যায়। তারপর থেকে সেইতার আর সারাই হয়নি। বেশ কিছু সংগঠন খোলার দাবিতে মাঝেমধ্যেই খিদিরপুর ট্রাম ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখায়। সমস্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে যাবার পরে এদিন পরিবহণ দপ্তরের চেয়ারম্যান মদন মিত্র খিদিরপুর আসেন।এসে এখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।একটি রিপোর্ট তৈরি করেন এবং তিনি জানান সেই রিপোর্ট মেয়র ফিরহাদ হাকিম কে তিনি জমা দেবেন। তারপর সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত হবে কবে থেকে ট্রাম চালু হবে। পরিদর্শনে এসে একটি বন্ধ ট্রামের উপরে তিনি ওঠেন উঠে ঘুরে দেখেন। এরপর মদন মিত্র বলেন, 'প্রত্যেকদিন আমি দেখছি বিভিন্ন খবর কাগজে দেখানো হচ্ছে ট্রাম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সেই দেখবার জন্যই খিদিরপুরে এসেছি। খিদিরপুর ধর্মতলা ট্রাম বন্ধ রয়েছে  আমফানের পর থেকে।আমি সেই রিপোর্ট ফিরহাদ হাকিমকে দেবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু আমি জানিয়ে দিচ্ছি সরকারের তরফ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এরকম কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি।'