সংক্ষিপ্ত
করোনা পরিস্থিতিতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল কলকাতার ইসকন কর্তৃপক্ষ। এবার আর রথে করে নয়, গাড়িতে চড়েই মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। ১৫টি গাড়ির একটি কনভয়ে থাকবে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমনিতেই এবার রথযাত্রা একেবারেই জৌলুসহীন। আর তার মধ্যেই এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিল কলকাতার ইসকন কর্তৃপক্ষ। এবার আর রথে করে নয়, গাড়িতে চড়েই মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। ১৫টি গাড়ির একটি কনভয়ে থাকবে। কলকাতা পুলিশের পাইলট কার এসকর্ট করবে। ৫০ বছরে এই প্রথমবার এভাবে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথদেব।
আরও পড়ুন- রথযাত্রার আগে লাগাতার ৪ দিন দাম কমল সোনার, রেকর্ড দরের থেকে কতটা কম কলকাতায়
প্রতিবছর রথের দিন এই মন্দিরে ভোগ নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার অন্যথা হবে না। ১২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর ভোগ নিবেদন ও আরতির পর শুরু হবে রথযাত্রা। ওইদিন গাড়িতে চড়ে অ্যালবার্ট রোড থেকে গুরুসদয় দত্ত রোডে মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথদেব।
এই পরিস্থিতিতে ভক্তদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে রথযাত্রা দেখার পরামর্শ দিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কোভিড বিধি মেনে সোমবার মাসির বাড়িতে বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জগন্নাথ দেবের দর্শন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাংলার ৭ IPS-কে দিল্লিতে তলব ED-র, কয়লাকাণ্ডে ফের মোড় নেবে কি রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বদলেছে অনেক কিছুই। পুজোর আচার-নিয়মেও এসেছে বদল। সবটাই মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। বহু বছর ধরে যে সব নিয়ম নিষ্ঠাভরে পালন করা হচ্ছিল তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসেছে বদল। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক রথযাত্রা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আবার পুরীতে ভক্তদের জমায়েত রুখতে রবিবার রাত থেকে জারি হচ্ছে কারফিউ। মন্দির চত্বরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। সেখানেও বদলেছে চিরাচরিত নিয়ম ও প্রথা। এছাড়া গতবছরের মতো এবছরও হুগলির মাহেশের রথের চাকা গড়াবে না। অস্থায়ীভাবে মন্দিরের পাশেই মাসির বাড়ি তৈরি করা হবে। সেখানেই সাতদিন থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। আর শালগ্রাম শিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে মাসির বাড়ি। এবছর ৬২৫ বছরে পা দেবে এই রথযাত্রা। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির মধ্য়ে এখন কিছুই সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- সকালেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝাপিয়ে বৃষ্টি রাজ্যের এই জেলা গুলিতে, সপ্তাহান্তে পারদ চড়ল কলকাতায়
তবে শুধু মাহেশ নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলেও এবার রথের চাকা গড়াবে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খুব সাধারণভাবেই এবার সেখানে রথযাত্রা পালন করা হবে। সেখানে এবার রথের পরিবর্তে পালকিতে করে মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। এমনকী, রথের সময় সেজে ওঠে তারাপীঠ মন্দিরও। মা তারাকে রথে বসিয়ে দড়িতে টান দেওয়া হয়। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত বছর এই নিয়ম পালন করা সম্ভব হয়নি আর এবারও পালন করা হবে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।