সংক্ষিপ্ত

কয়েকদিন ধরেই এই ফাটল দেখতে পেয়েছেন বাসিন্দারা। যদিও ট্রাফিক বিভাগের তরফে এখনই যান চলাচলে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে ওভারব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। 

ফের ফিরছে ২০১১ সালের উল্টোডাঙা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার আতঙ্কের স্মৃতি। লেকটাউন থেকে ই এম বাইপাস যাওয়ার রাস্তায় উল্টোডাঙা উড়ালপুলের পিলারের হাল খারাপ। সেই ছবি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কয়েকদিন ধরেই এই ফাটল দেখতে পেয়েছেন বাসিন্দারা। যদিও ট্রাফিক বিভাগের তরফে এখনই যান চলাচলে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে ওভারব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন উড়ালপুলে একাধিক জায়গায় ধরা পড়ল ফাটল। উড়ালপুলের দু’দিকের লেনে একাধিক পিলারে ফাটল ধরা পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আজ সকালেই ঘটনাস্থলে যান কেএমডিএ’‌র ইঞ্জিনিয়াররা। দেখা যায় বেশ বড়ো আকার নিয়েছে ফাটল। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে যান চলাচল বন্ধ রেখে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কেএমডিএ। উড়ালপুলের একাংশ দুর্বল হয়ে পড়ায় চারটি পিলার বসানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেও কীভাবে ফাটল ধরল? উঠছে প্রশ্ন।

গত বছরও দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করা হয় উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশ। উল্টোডাঙা উড়ালপুল দুর্ঘটনার পর নতুন করে তৈরি করা হয় ব্রিজের এই অংশ। এখন এই অংশ কতটা ভার বহন করতে পারে বা ব্রিজের জয়নিং রাবার গুলি কি পরিস্থিতিতে আছে সেই বিষয় পর্যবেক্ষণ করার জন্যে এই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কেএমডিএ জানায়।  

তার আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসেও ফাটল দেখা দিয়েছিল এই ওভারব্রিজে। কেএমডিএ-র উড়ালপুল এবং সেতুর স্বাস্থ্য পরিদর্শক দল পরিদর্শনে যান।  শহরের বিভিন্ন উড়ালপুলের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখার পর দলটি উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারে আসে। সেখানেই উড়ালপুলের একটি অংশে বিপজ্জনক ফাটল দেখতে পান তারা। জানা যায়, এই ফাটল উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশেই মিলেছে। ফ্লাইওভারে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর জেরে ইএম বাইপাসে যানজট শুরু হতে থাকে এবং সন্ধ্যার পরে তা চরম আকার নেয়। সায়েন্স সিটি থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত যান চলাচল প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

ভিআইপি রোডের যে মুখটি দিয়ে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের উঠে সরাসরি ই এম বাইপাসে পৌঁছনো যেত সেই অংশের মাঝে একটি বড় কংক্রিটের স্ল্যাব দুটি স্তম্ভ থেকে খসে নিচের খালের উপরে গিয়ে পড়েছিল। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চের ভোরে এই ঘটনা ঘটে। সেই খসে পড়া কংক্রিটের স্ল্যাবের সঙ্গেই নিচে আঁছড়ে পড়েছিল একটি লরি। লরির ক্ষতি হলেও সে সময় চালক ও খালাসি অক্ষত-ই ছিলেন। কংক্রিটের সেই স্ল্যাবটি বছর দুয়েকের চেষ্টায় ফের দুই স্তম্ভের উপরে স্থাপন করা হয়েছিল।