সংক্ষিপ্ত

  • মঙ্গলবার জমিয়ে শীত উপভোগ শহরবাসীর
  • বুধবার থেকে ফের বাড়বে তাপমাত্রা
  • বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে কলকাতায়
  • গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই চলবে বৃষ্টি
     

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও জমিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করছেন শহরবাসী। সোমবার রাতে তাপমাত্রার পারদ আরও কিছুটা নামল। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি নীচে। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাও স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নীচে। ফলে দিন ও রাত দুটোর তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের নীচে। বাতালে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩১ থেকে ৯৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে কোথাও কোনও বৃষ্টি হয়নি।  

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওঁদের, ওয়াঘা পেরিয়ে ভারতীয় হওয়ায় ইচ্ছা ২০০ জন পাক হিন্দুর

তবে আবাহওয়া দফতর পূর্বাভাস দিচ্ছে বুধবার থেকে ফের বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাড়বে পূবালী হাওয়ার প্রভাব, আর তার ফলেই কমবে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি। 

আগামী দু'দিন দার্জিলিঙে বৃষ্টি হবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বুধবারের মধ্যে রয়েছে পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা। সিকিমের পার্বত্য এলাকাতেও রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনা। তবে বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা।  

আরও পড়ুন: ১৫ লক্ষ দেননি মোদী-শাহ জুটি, প্রতারণার অভিযোগে মামলা শুরু রাঁচির আদালতে

এদিকে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ফের বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে বিকেলের দিকে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেও। শুক্রবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলার সম্ভাবনা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাগুলিতেই। 

জম্মু-কাশ্মীরে আরও দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকতে চলেছে। এদের মধ্যে প্রথমটির ঢোকার সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার। পরেরটি ঢুকতে পারে রবিবার। এই জোড়া পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে আগামী কয়েকদিন পঞ্জাব, দিল্লি সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে ঘন কুয়াশা থাকবে। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাতলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তুষারপাত হতে পারে। বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায়।