সংক্ষিপ্ত

আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হবে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। 

এখনই রেহাই মিলছে না বৃষ্টির হাত থেকে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। গতকাল রাতেই বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। আর আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল গোমরা। আগামী কয়েক দিনও বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। আগামীকাল বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। শুধু ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টি হবে। আর অন্যান্য জেলাগুলোতে আকাশ মেঘলা থাকবে। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি আবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দাপট দেখাবে বৃষ্টি। ২৮ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেদিন থেকে বৃষ্টির পরিমাণও কমবে। 

কলকাতার আবহাওয়া
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হবে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। একে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং সঙ্গে পূবালি হাওয়ার সংঘাত। তার জেরেই অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। 

উত্তরবঙ্গের আবহওয়া
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবে না উত্তরবঙ্গও। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল শুধুমাত্র দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হবে। ২৭ তারিখ উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে। আর ২৮ তারিখ থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে রাতের তাপমাত্রা দুই বঙ্গে খুব একটা পরিবর্তন হবে না।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের দমকা ঝড়ো হাওয়া আর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ শিলা বৃষ্টির ফলে ক্ষতি হয়েছে বিঘের পর বিঘে আলু ও সরষে চাষের জমি। শিলা বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে আলু গাছের ডগা। বিঘের পর  বিঘে সরষে জমিও ক্ষতিগ্রস্ত। এক রাতের বৃষ্টিতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকেরা। তার মধ্যে আবার ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা। 

চলতি মরশুমে তেমনভাবে জমাটি ঠান্ডা পায়নি বঙ্গবাসী। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বারবার বৃষ্টির মুখে পড়েছে বাংলা। আর তাতে প্রত্যেকবার ব্যাঘাত ঘটেছে শীতে। কয়েকদিন জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার বৃষ্টি এসে কমিয়ে দিয়েছে শীতের অনুভূতি। এমন ঘটনা এই মরশুমে একাধিকবার হয়েছে। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলবায়ু। যার প্রভাব পড়ছে চাষে। অকাল বৃষ্টির জেরে পচে গিয়েছে বহু সবজি। আর তার প্রভাব পড়ছে বাজার দরের উপর। তার জেরে বেশ কিছু জায়গায় সবজির দাম রয়েছে অনেক বেশি।