সংক্ষিপ্ত
- দেরি হলেও অবশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
- কেরল, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে
- পাশ হল সিএএ বাতিলের প্রস্তাব
- দেশের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে এই কাজ করল মমতার সরকার
দেরি হলেও অবশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কেরল, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে পাশ হল সিএএ বাতিলের প্রস্তাব। দেশের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে বিধানসভায় এই কাজ করল রাজ্য় সরকার। তবে বিলের প্রস্তাব পাশের সময় বিরোধীদের মধ্য়ে কিছুটা হলেও মতানৈক্য তৈরি হয়। শেষমেশ এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের বিধায়করা। যদিও বিজেপি বিধায়করা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
এদিন বিধানসভায় প্রস্তাবটি পেশ করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব পেশের পরই বিরোধিতা শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। যদিও ভোটাভুটি ছাড়াই বিধানসভায় পাশ হয়ে যায় এই প্রস্তাব। বিধানসভায় এই প্রস্তাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য়ে কোনওভাবেই সিএএ, এনআরসি, এনপিআর হতে দেব না। সিএএ মেনে দেশের নাগরিকত্ব পেতে হলে, আগে নিজেকে বিদেশি বলে ঘোষণা করতে হবে। এটা একটা ষড়যন্ত্র। সাবইকে অনুরোধ কেউ বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না।
সিএএ নিয়ে রাজ্য়ে রাস্তায় নেমেছে শাসক দল। খোদ সপ্তাহ জুড়ে সিএএ বিরোধী মিছিল করেছেন মমতা। তবে এর আগে এই আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ করা হয়নি। এদিন সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ হলেও মুখ্য় মনত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় বাম , কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ , আগেই তারা বিধানসভায় অভিযোগ, এই প্রস্তাব আনার কথা বলেছিল। কিন্তু তাদের সেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। এদিনও সিএএ বিরোধী প্রস্তাবে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল। তা নিয়ে অবশ্য ভোটাভুটি হয়নি। তাই বাম কংগ্রেসের অভিযোগ, শাসক দল নিজে কৃতিত্ব নেবে বলে এই ধরনের কাজ করেছে। অন্য়থায় যৌথভাবে এই প্রস্তাব পাশ করা যেত।
যদিও সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন সিএএ বিরোধী বিল পাশের কৃতিত্ব নেওয়ার সময় নয়। লড়াই ভুলে সবাইকে এই আইনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।