সংক্ষিপ্ত

 সম্প্রতি বিদ্রোহের সুর তুলে দলীয় বৈঠক ছেড়ে আচমকাই বেরিয়ে চলে যান রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায় আর বৈঠকের কোন্দলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির রাজ্য দফতরে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল গেরুয়া শিবির। 

 

বিজেপির রাজ্য দফতরে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল গেরুয়া শিবির (West Bengal BJP )। ইতিমধ্যেই বিদ্রোহের সুর তুলেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়। সম্প্রতি দলীয় বৈঠক ছেড়ে আচমকাই বেরিয়ে চলে যান তিনি। এরপেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly) । আর বৈঠকের কোন্দলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির রাজ্য দফতরে (BJP State Office)সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল গেরুয়া শিবির। 

বিজেপির রাজ্য দফতরে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নিদান জারি করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। রাজনৈতিক মহলের  একাংশের অনুমান, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের জেরেই এই নিদান জারি হয়েছে। উল্লেখ্য, সংবাদ মাধ্যমের উপর এই ধরণের ফতোয়া বিজেপির ক্ষেত্রে যদিও এটা প্রথমবার নয়। এর আগেও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন অমল চট্টোপাধ্যায়ও দলীয় কার্যালয়ে একইভাবে সাংবাদিকদের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ফের একই দৃশ্য ফিরল পুরভোটের আগেও। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতা পুরভোট নিয়েই বৈঠকের আয়োজন করে বিজেপি। ওই বৈঠকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার  এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ  বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। বৈঠক চলাকালীন নিজের মেজাজ হারিয়ে বসেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। আচমকাই রূপা বলে ওঠেন, 'এই সব ভাটের বৈঠকে আমাকে ডাকবেন না'।  এবং তৎক্ষণাৎ বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর রূপার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয় নয়া জল্পনা। 

আরও পড়ুন, Kolkata Airport: করোনার নয়া নির্দেশিকা কলকাতা বিমানবন্দরে, বাধ্যতামূলক হল RT-PCR টেস্ট

 উল্লেখ্য, ফেসবুকে বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাস দাসের  মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সেখানে সাফ জানান , 'এবার আমার কাছে স্পষ্ট, তিস্তার মৃত্য কোনও নিছক দুর্ঘটনা ছিল না।  বরং এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ক্ষমা করবেন বিজেপি বেঙ্গল। আমি আমার সামর্থ্য মত গৌরবের পাশে থাকব।' এখানে গৌরব অর্থাৎ প্রয়াত  বিজেপি কাউন্সিলর  স্বামী।  তিস্তা বিশ্বাসের   সড়ক দুর্ঘটনায় তিস্তার মৃত্যু হলেও রাহুল সিনহা  মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন তদন্ত হওয়া উচিত। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সূত্রের খবর তিস্তার স্বামী গৌরব পুরভোটে টিকিট না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত ওই ওয়ার্ড থেকে তিস্তার স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে প্রার্থী করার কথা থাকলেও অন্য একজনকে টিকিট দেয় দল। আর এনিয়ে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ ছিলেন রূপা। এরপরেই মঙ্গলবারের বৈঠকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন রাজ্যসভার সাংসদ। তবে রূপার এই ব্যবহার মোটেই ভাল চোখে দেখেনি রাজ্য বিজেপি। ইথিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নের্তৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এরপর যাতে দলের ভিতরের এহেন ঘটনা প্রকাশ্যে না আসে, তাই আগাম ফতোয়া জারি বিজেপির।