সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
- চার জেলায় ছড়িয়েছে সর্বাধিক সংক্রমণ
- বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি নোডাল অফিসার নিয়োগ
- কোথায় কোথায় নোডাল অফিসার নিয়োগ রাজ্য়ের
রাজ্য়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চার জেলায় ছড়িয়েছে সর্বাধিক সংক্রমণ। বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি নোডাল অফিসার নিয়োগ করল রাজ্য সরকার।
সোমবার জারি হয়েছে সেই নির্দেশিকা। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী কলকাতা, হাওড়া ও দুই ২৪ পরগণার দায়িত্বে থাকবেন এই নোডাল অফিসাররা।
নির্দেশিকা বলছে, কলকাতার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উত্তর ২৪ পরগণার দায়িত্ব পেয়েছেন মনোজ পন্থ। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগণার জন্য নবীন প্রকাশ ও হাওড়ার জন্য রাজেশ পাণ্ডেকে দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য় সরকার। এদিকে সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন হুগলির চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়। বয়স মাত্র আটত্রিরিশ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে প্রশাসনিক মহলে। জ্বরে ভুগছিলেন বেশ কয়েকদিন ধরে।
দেবদত্তার ক্যারিযারগ্রাফ বলছে, একসময়ে বিডিও ছিলেন পুরুলিয়া দুই নম্বর ব্লকের। ২০১১ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার দেবদত্তা রায়। পুরুলিয়া থেকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি হয়েছিলেন চন্দননগর মহকুমায়। স্বামী ও চার বছরের সন্তানও রয়েছে ওই তরুণী আধিকারিকের। দিন কয়েক আগে দেবদত্তা ও তাঁর স্বামীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ব্যারাকপুরে চিকিৎসাও চলছিল দু'জনের।
পরিবারের লোকের জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায় চন্দনগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা চলছিল। এরইমধ্যে রবিবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে, তাঁকে ভর্তি করা হয় শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালে। কি কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সোমবার সকালে মারা গেলেন চন্দনগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়।
কী করে সংক্রমিত হলেন চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট? জানা গিয়েছে, যাঁরা ডানকুনিতে আসছিলেন তাঁদের থাকা খাওয়া ও রাখার ব্যবস্থা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন এই তরুণী আধিকারিক। তখন অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। এরপর ১ জুলাই ছুটি নিয়ে দমদমের লিচুবাগানের বাড়িতে চলে যান দেবদত্তা। বাড়িতে থাকাকালীন করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে গোটা রাজ্যের মতো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হুগলিতেও। এখনও পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২৮। চিকিৎসায় সেরে উঠেছেন এক হাজার সাতান্ন জন। মারা গিয়েছেন ২৯ জন। ডানকুনি থানার দু'জন পুলিশকর্মীও সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।