সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে মামলা শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে। মানবধিকার কমিশন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রিপোর্ট দিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে মামলা শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে। মানবধিকার কমিশন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রিপোর্ট দিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গে চলে শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়', ২১-এ 'শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস' পালন শুভেন্দুদের
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হবে যে, রাজ্য মানবধিকার কোনও অভিযোগ জমা পড়ল না। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশের পর জাতীয় মানবধিকার কমিশনে একেরপর এক অভিযোগ। পরিকল্পনা করেই পুরোটা করা হয়েছে বলে জানাবে রাজ্য। সিপিএম বা কংগ্রেসের অভিযোগ করেছে, তাঁদের দলের অভিযোগকারীদের সঙ্গে দেখাও করেননি কমিশনের কর্তারা। এবিষয়টাও শুনানিতে জানানো হবে কলকাতা হাইকোর্টে। উল্লেখ্য, হিংসায় ১৪ জনের রিপোর্ট রাজ্য আদালতে দিতে চলেছে। আদালতে নবান্ন জানাবে যে, ৫ মে-র আগে ঘটনাগুলি ঘটেছে। তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতার শপথ গ্রহনের পর এই ঘটনা ঘটেনি। কমিশনের দেওয়া অনেক তথ্যই ভূল। তার পাশাপাশি রাজ্য আরও একটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলবে। তা হল, ত্রিপুরায় সিপিএমের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হলেও সেখানে কেন গেল না জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আরও পড়ুন, ২১-র মঞ্চে চব্বিশে চোখ, BJP-কে দেশ ছাড়া করার হুশিয়ারী মমতার
অপরদিকে, ২১ জুলাই বুধবার শহিদ দিবসের দিনেই বিজেপি পালটা শ্রদ্ধাঞ্জল দিবস পালন করে। 'পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও এবং গণতন্ত্র বাঁচাও' কর্মসূচি পালন করে শুভেন্দু অধিকারীর দল। তৃণমূলকে নিশানা করে ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের তিন হাজার পাতার রিপোর্ট নিয়ে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেছেন, 'স্বাধীনতার আগে এবার পরে পশ্চিমবঙ্গের স্থান সবার উপরে ছিল, কিন্তু মমতার সরকার আসার পরে তা একেবারে মাটিতে মিশে গিয়েছে'। 'পশ্চিমবঙ্গে চলে শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়' এই অবধি বলে কমিশনের উদ্ধৃতি তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।