সংক্ষিপ্ত
সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পরই ফের নতুন করে চাপানউতর শুরু হয় বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি পদ্ম শিবিরের নেতাদের।
ত্রিপুরায়(Tripura) পুরভোটের(Municipal Elections) উত্তাপে ক্রমেই সিক্ত হচ্ছে বাংলার মাটি। এদিকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২২২টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি পেয়েছে বাংলার শাসক দল। সহজ কথায় গেরুয়া ঝড়ে গোটা রাজ্যেই কার্যত দিশেহারা হয়েছে পড়েছে বিরোধীরা। এদিকে ভোটের রেজাল্ট প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপত্র কুনাল ঘোষ(Kunal Ghosh) বলেন তৃণমূলের(TMC) দু’মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। হামলা, মামলা, তাণ্ডব করে ছাপ্পা ভোটের পুরবোর্ড গড়ছে বিজেপি। এটাই আসল কথা।
অন্যিদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভরাডুবির প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সৌগত রায়((Trinamool leader Saugat Roy)) বলেন, “পরাজয় হয়েছে সন্ত্রাসের কাছে, হিংসার কাছে জবরদস্তির কাছে। আমরা চেষ্টা করা সত্ত্বেও ফ্রী এন্ড ফেয়ার নির্বাচন হলো না। আমরা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেলাম কিন্তু তাতেও সন্ত্রাস থামল না। ভোট তো হয়নি ভোট করতে দেয়নি। সাবসিটে প্রার্থী দিয়েছিলাম কিন্তু ভোটাররা পৌঁছতে পারেনি তাদের পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।” এদিকে সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পরই ফের নতুন করে চাপানউতর শুরু হয় বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি পদ্ম শিবিরের নেতাদের।
আরও পড়ুন-বিজেপি বলছে সান্ত্বনা পুরষ্কার, ১৬ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়ে ২৩-র ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত তৃণমূল
এদিকে সম্প্রতি মন কী বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “আমি ক্ষমতালোভী নয়”। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, “শুনেছি কথাটা ভাল। বলছেন আমি সেবক। এদিকে তিনি কৃষি বিল জিএসটি চালু করলেন কাউকে জিজ্ঞাসা করলেন না কেন। সেবক হয়ে কৃষকদের এমন হাল করলেন আন্দোলন করে আইন প্রত্যাহার করতে হল। উনি বলেন আমি সেবক কিন্তু ওর মনোভাব অত্যাচারী শাসকদের মতো। কথা এবং কাজে কোন মিল নেই।” অন্যদিকে সোমবার কংগ্রেস যে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে সেখানে যাওয়া প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং আছে তাই যাওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-রাতারাতি সুর বদল পার্থর, কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় নাম উঠলেও থাকছেন তৃণমূলেই
এদিকে ত্রিপুরা পুরভোটের জেতা আসনের দিকে নজর দিলে বিজেপির ধারে-ভারে একদমই পাল্লা দিতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। আমাবাসা পুর পরিষদে মাত্র একটি আসনে ফুটেছে ঘাসফুল। অন্যদিকে আমবাসায় ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টিতে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম এবং ত্রিপুরামোথা একটি করে আসন জিতেছে বলে দেখা যাচ্ছে। তবে প্রায় ১৬টি ওয়ার্ডে শক্তিশালী বিরোধী সিপিএমকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। এটাকেই নৈতিক জয় হিসাবে দেখছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।