সংক্ষিপ্ত
যৌন হেনস্থার প্রসঙ্গে সরব হলেন এক কিশোর। সম্প্রতি, নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। জানালেন কীভাবে মেয়েরা তাঁকে যৌন হেনস্থা করে।
কর্মস্থলে যৌন হেনস্থার (Sexually Assaulted) কথা সকলেই জানেন। বিশেষত মহিলাকর্মীদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে, শুধু মহিলারা (Women) নন, আজকাল পুরুষরাও এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই সমস্যার সমাধান করতে, নানা রকম নিয়ম মেনে চলে সংস্থাগুলো (Company)। থাকে কমপ্লেন কমিটি। তবে, এই যৌন হেনস্থার শিকার (Sexually Assaulted) হলে মেয়েরা অভিযোগ জানান ঠিকই। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলেরা তা মুখ বুজে সহ্য করে নেন। কিন্তু, এবার যৌন হেনস্থার প্রসঙ্গে সরব হলেন এক কিশোর। সম্প্রতি, নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। জানালেন কীভাবে মেয়েরা তাঁকে যৌন হেনস্থা করে। জানান, একবার নয় ১০ বার তিনি মহিলাদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন।
সম্প্রতি, ভাইরাল হয়েছে একটি টিকটক (TikTok) ভিডিও। যেখানে, চার্লি নামে ১৯ বছরের এক কিশোর তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। জানান কীভাবে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়। তিনি বিদেশের একটি ক্লাবে কাজ করেন। সেখানে কতগুলো মহিলা তাঁর যৌনাঙ্গ চেপে ধরে। এমনকী, তাঁকে পোশাক খুলে ফেলার জন্য জোড় করা হয়। সকলের সামনে প্রশ্ন করা হয় তিনি ‘যৌন হেনস্থা’ প্রসঙ্গে কী জানেন।
অর্থনীতির এই ছাত্র, পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ক্লাবে বাউন্সারের (Bouncer) কাজ করে। তিনি বলেছেন, এধরনের কাজ যারা করেন, তারা অনেকেই যৌন নিপীড়নের (Sexually Assaulted) শিকার হন। কিন্তু, কেউই প্রতিবাদ করেন না। তবে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অন্যায় প্রসঙ্গে সরব হলেন।
চার্লি জানান, তিনি তখন নরউইচের (Norwich) একটি ইভেন্টে কাজ করছিলেন। সেখানে নিয়ম ছিল কেউ টেবিল বা চেয়ারের ওপর উঠতে পারবে না। তাদের মূল কাজ ছিল, যারা চেয়ার কিংবা টেবিলের ওপর উঠেছে তাদের নামতে বলা। এই কাজ করার সময় একজন মহিলা তার নিতম্বে (Bum) হাত দেন। তিনি উপেক্ষা করেন। তখন কয়েকজন মহিলা তার পথ আটকায়। তিনি বারণ করা সত্ত্বেও তার গায়ে স্পর্শ (Touch) করে। গোপনাঙ্গে হাত দেন। তিনি হাজার চেষ্টা করেও তাদের আটকাতে পারেননি। তিনি একজন মহিলাকে টেবিল থেকে নামতে বলেছিলেন। সেই কথা শোনা মাত্রই, সেই মহিলা বাজে ভাবে তাঁকে স্পর্শ করতে শুরু করে। এই সময় অন্য একটি মহিলা ফের তাঁর গোপনাঙ্গে স্পর্শ করে। এই ভাবে সেই ইভেন্টে কম করে দশ বার তাঁকে যৌন হেনস্থার (Sexually Assaulted) শিকার হতে হয়। চার্লির এই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনে সকলেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এবং এই অন্যায় বন্ধের দাবি করেছেন।