আমাদের শরীর নিয়ে গুজব প্রচুর বেশিরভাগই ভিত্তিহীন,অবৈজ্ঞানিক দাঁত নিয়েও অবৈজ্ঞানিক ধারণা প্রচুর কোনওটাই বিজ্ঞানসম্মত নয়

আমাদের শরীর নিয়ে গুজব কিছু কম নেইপেট নিয়ে গুজব, মাথা নিয়ে গুজবএমন কথাই শোনা যায়, যার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেইঠিক তেমনই দাঁত নিয়েও রয়েছে বিস্তর বাজে কথাতা-ও একটা দুটো নয়, নয়-নয় করে ডজনখানেকেরও বেশি

যেমন ধরুন, এখনও অনেকের ধারণা আছে, দাঁত তুললে নাকি চোখ খারাপ হয়ে যায়বলাই বাহুল্য়, এমন কোনও ঘটনার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই কেউ মনে করেন, দাঁত পরিষ্কার করলে নাকি দাঁত নড়ে আর তার এনামেল নষ্ট হয়ে যায় কেউ আবার ভাবেন, দাঁতের গর্ত থেকে কৃমির মতো পোকা বের হয় আর তা বের হলেই ব্য়থা কমে যায়দাঁতে ব্যথা হলে গরম সেঁক নিলে ভারি উপকার হয়এক-একবার মা-হওয়া মানে দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়াকাউর কাউর তো আবার এমনও ধারণা যে, মদ-খৈনি-তামাক ব্যথা দাঁতে লাগালে দারুণ উপকার হয় এমনই কিছু গুজবযেমন, কখনও একটি দাঁত বাঁধানো উচিত নয়, কারণ তা গিলে ফেললে পেটের ভেতরে চলে যেতে পারেসব দাঁত পড়ে গেলে একেবারে দাঁত বাঁধানো উচিত একসময়ে তো এমন ধারণাও ছিল যে, আক্কেল দাঁত তুলে ফেললে আক্কেল ও বুদ্ধি কমে যায়ভেবে দেখুন একবার

অথচ বিজ্ঞান বলে, দাঁতের গর্তে পোকার কোনও অস্তিত্ত্বই নেই দাঁত তোলার সঙ্গে চোখ খারাপ হওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই দাঁতে ব্যথা হলে গরম সেঁক দিলে সাময়িক আরাম হয় ঠিকই, কিন্তু পরে তা হিতে বিপরীত হয় মুখ ফুলে যায়, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তবে হ্য়াঁ, গরম জলে কুলকুচো করা কিন্তু উপকারি, তাতে কোনও বাধা নেই কিন্তু সেঁক একেবারেই নয় এবার দেখা যাক, মা হলে দাঁত পড়ে যায় কিনা আসলে গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন নেওয়া হয় না সেভাবে অন্তত আগেকার দিনে হত না সেভাবে নানা কারণে দাঁতের অযত্ন হয়কিন্তু ঠিক মতো যত্ন করলে কিন্তু কোনও সমস্য়া হওয়ার কথাই নয় এবার আসি বাঁধানো দাঁত বা নকল দাঁতের কথায় বাঁধানো দাঁত পরে আলগোছে জল খাওয়া বা সেই দাঁত কথায়-কথায় খোলা-পড়া করা একেবারেই উচিত নয় শ্বাসনালীতে বা খাদ্য়নালীতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বাঁধানো দাঁত প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পাল্টে নেওয়া উচিত এই সাবধনতাগুলো অবলম্বন করলে ঝুঁকির কিছু থাকে নামোট কথা, গুজবে কান দেবেন না