সংক্ষিপ্ত
- আবহমানকাল ধরে চলে আসছে ব্রাম্ভীর ব্যবহার
- ছোটদের একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোই শুধু নয়
- সেইসঙ্গে এডিএইচডির মোকাবিলাতেই কাজ করে
- বড়দের পার্কিনসন, অ্যাজজাইমার্স প্রতিরোধেও কাজ করে
দুশ্চিন্তা কমাতে, মৃগীর চিকিৎসায়, স্মৃতিশক্তিকে চাঙ্গা করার মতো বিভিন্ন উদ্দেশ্য়েই ব্রাম্ভীর ব্য়বহার চলে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকে। শুধু আয়ুর্বেদেই নয়, আধুনিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বাড়াতে, অ্য়াংজাইটি ও স্ট্রেস কমাতে, খুব ভাল কাজ দেয় এই ব্রাম্ভী। এতে থাকে ব্য়াকোসাইডস যৌগ, যা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পারকিনসন, অ্য়ালজাইমার্স ও বিভিন্ন নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা আছে এই ব্রাম্ভীর।
ব্রাম্ভীতে প্রদাহনাশক উপাদান থাকে। প্রদাহের কারণ হয় যে এনজাইম, তাকে কাবু করার ক্ষমতা রয়েছে এর। বিজ্ঞান গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বাড়াতে পারে ব্রাম্ভী। একটি পরীক্ষা হয়েছিল ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে। সেখানে ১২ সপ্তাহ ধরে তাঁদের ৩০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম ব্রাম্ভীর রস খাওয়ানো হয়েছিল রোজ। ফলস্বরূপ দেখা যায়, তাঁদের স্মৃতিশক্তি ও মনোনিবেশের ক্ষমতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার, এডিএইচডির উপসর্গে হাইপার অ্য়াকটিভিটি, ইনঅ্য়াটেনটিভনেস আর ইমপালসিভিটির মতো সমস্য়া দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এডিএইচডি-র এই উপসর্গগুলোকে কমাতে সাহায্য় করে ব্রাম্ভী।
আর একটি পরীক্ষা হয়েছিল ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি ৩০ জন বাচ্চাকে নিয়ে। তাদের ছ-মাস ধরে ২২৫ মিলিগ্রাম ব্রাম্ভীশাকের রস খাওয়ানো হয়েছিল রোজ। রেস্টলেসনেস, ইনঅ্য়াটেনশন, ইমপালসিটিভিটির মতো এডিএইচডি-র উপসর্গ ৮৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল এই ব্রাম্ভীর রস খাওয়ার ফলে।
প্রাণীদের নিয়ে একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ক্য়ানসার কোষের বাড়বৃদ্ধি কমাতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য় করে ব্রাম্ভীশাক। মানুষের ওপরেও এই পরীক্ষা চলছে।