সংক্ষিপ্ত

  • মাতৃত্ব অনুভব করা খুব আনন্দদায়ক
  • কিন্তু তার সঙ্গে এই সময়টা মহিলাদের জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক
  • প্রায় ১০ মাস গর্ভে সন্তান ধারণ করে চলা তো সহজ কথা নয়

মাতৃত্ব অনুভব করা খুব আনন্দদায়ক। কিন্তু তার সঙ্গে এই সময়টা মহিলাদের জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক। প্রায় ১০ মাস গর্ভে সন্তান ধারণ করে চলা তো সহজ কথা নয়। এই সময়ে মহিলাদের মেজাজেও বহু ওঠানামা হতে থাকে। স্বাদেও থেকে থেকে বদল হতে থাকে। 

কিন্তু গর্ভাবস্থায় ৬টি খাবার কখনওই খাওয়া উচিত নয়- 

১) হাই মার্কারি ফিশ-  মাছকে টাটকা রাখতে পারদ দেওয়া থাকে অনেক সময়ে। পারদ শরীরে পক্ষে বিষের মতোই সাংঘাতিক। তাই গর্ভাবস্থায় এটি পেটে গেলে শিশুর উপরে তার প্রভাব পড়বে। সাধারণত টুনা, শার্ক, কিং ম্যাকারেল, সোর্ডফিশে পারদ থাকে। এই সময়ে সুশিও খেতে না করছেন চিকিৎসকরা। 

২) ক্যাফিন- ক্যাফিন জাতীয় খাবার অর্থাৎ কফি, এনার্জি ড্রিঙ্ক, কোল্ড ড্রিঙ্ক এই ধরনের খাবার থেকে গর্ভবতী মহিলাদের দূরে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। এতে শিশুর জন্মের সময়ে ওজনে সমস্যা হতে পারে। 

৩) প্রসেসড জাঙ্ক ফুড- রিফাইন্ড ফ্লাওয়ার বা ময়দা দিয়ে তৈরি প্রসেসড ফুড খাবেন না গর্ভবতী অবস্থায়। যে খাবারে অতিরিক্ত কৃত্রিম ভিটামিন দেওয়া থাকে বা ভাজা অবস্থায় স্টোরড থাকে সেগুলি এড়িয়ে চলুন। 

৪) প্যাকেজড ফ্রুটস ও স্যালাড- শুধু ফাস্ট ফুডই নয়। প্যাকেজড ফলও খেতে না করছেন চিকিৎসকরা। কারণ এই ফলগুলিকে টাটকা রাখার জন্য এমন কিছু রাসায়নিক ব্যুবহার করা হয় যা মোটেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। এর প্রভাব সরাসরি শিশুর শরীরে উপরে পড়তে পারে। 

৫) হাফ বয়েলড ডিম- ডিম খেলে অবশ্যই ভালো করে রান্না করে এই সময়ে খান। হাফ বয়েলড ডিম খাবেন না। এতে গর্ভবতীর মায়ের স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব পড়ে। পেটে ব্যথা, বমি ভাব, জ্বর ইত্যাদি হতে পারে। এছাড়া আইসক্রিম, কেক, মেওনিজ ইত্যাদিতে কাঁচা ডিম ব্যবহার করা হয়। এই সময়ে এইগুলি খাবেন না। 

৬) অ্যালকোহল- অ্যালকোহল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একেবারে ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় মদ্যপান খেলে শিশু মিসক্যারেজ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। শিশুর মস্তিষ্কের উপরে প্রভাব ফেলে।