সংক্ষিপ্ত
- অবসাদ একবার গ্রাস করলে, তার থেকে রেহাই পাওয়া খুব কঠিন
- আমাদের সমাজ এখনও মানসিক স্বাস্থ্য়ের ব্য়াপারে সে ভাবে সাবালক হয়নি
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের একটি কাজ বন্ধ করা উচিত
- এই কাজটি বন্ধ করলে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়
মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক একথা সর্বজনবিদীত। এক নতুন গবেষণা বলছে, মদ্যপান ছাড়লে মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। মাঝারি পরিমাণে মদ্যপান করলে স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব পড়ে না, এমনটাই মনে করতেন অনেকে। কিন্তু এই তথ্য ভুল বলে দাবি করছেন চিকিৎসকরা।
মাঝারি পরিমাণে মদ্যপান বলতে পুরুষদের ক্ষেত্রে বোঝায় সপ্তাহে ১৪ পেগ ড্রিঙ্ক বা তার কম। মহিলাদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৭টি ড্রিঙ্ক বা তার চেয়ে কম। ডানাচ্ছেন হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক মাইকেল নিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা একেবারেই মদ্যপান করেন না তাঁরা তুলনামূলক ভাবে মানসিক ভাবে অনেক সুস্থ থাকে।
গবেষণার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে মদ্যপান একেবারে ছেড়ে দেওয়ার পরে মহিলারা মানসিক ভাবে বড় পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছেন। এই মহিলারা যে রোজ মদ্যপান করতেন, তা নয়। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এঁরা মদ্যপান করতেন। কিন্তু সেটুকুও ছেড়ে দেওয়ায় তাঁরা মানসিক ভাবে বেশি সুস্থ বোধ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ স্বস্তির ঘুম ঘুমতে জেনে রাখুন কী কী করা উচিত আর কোন অভ্যাস এড়িয়ে যাবেন
গুরুগ্রামের নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক নবীন কুমার জানাচ্ছেন, এক মাসের জন্যও যদি কেউ মদ্যপান বন্ধ রাখেন, সেক্ষেত্রে তা হলেও অনেক পরিবর্তন ঘটে। বিশেষত মেটাবলিজন ভালো করতে মদ্যপান বন্ধ করা উচিত। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য, লিভার, হার্ট ভালো থাকে পুরোপুরি ভাবে মদ্যপান বন্ধ করলে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে হলেও মদ্যপান ছাড়তে হবে। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীর ভালো থাকে।
চিকিৎসক জানান, অ্যালকোহোল সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়, যার ফলে অবসাদ দেখা দেয়। এর ফলে ক্ষণে ক্ষণে মুড সুইং বা মেজাজের পরিবর্তন হতেই থাকে। মস্তিষ্ক স্বাভাবিক নিয়মে যে ভাবে চলে, তার উপর অনেকটাই প্রভাব ফেলে মদ্যপানের অভ্যেস। তাই এই ব্যস্ততার যুগেও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে মদ্যপান বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।