সংক্ষিপ্ত
কর্মজীবীরা অনেকসময়ে অফিসের মধ্যেই পাঁচ-দশ মিনিট নিজের চেয়ারেই মাথা নীচু করে ঘুমিয়ে নেন। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য একটু ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ঘুম নিয়ে নানা বির্তক রয়েছ।
বেশির ভাগ মানুষেরই খাবার খেয়ে ঘুম আসে, অনেকেরই দুপুরে ঘুমের সমস্যা হয়, আপনি যদি অফিসে কাজ করেন এবং দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমান তাহলে সমস্যা হয়। ঘুমানোর সঠিক সময় আছে, কিন্তু খাওয়ার পর যদি ঘুম আসে, তাহলে তার পেছনেও কারণ রয়েছে।
সারাদিনে কাজের পর শরীরে যেমন ক্লান্তি আসে তেমনি দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পরই অনেকেরই মনে হয় একটু ঘুমালে ভাল হয়। কর্মজীবীরা অনেকসময়ে অফিসের মধ্যেই পাঁচ-দশ মিনিট নিজের চেয়ারেই মাথা নীচু করে ঘুমিয়ে নেন। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য একটু ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ঘুম নিয়ে নানা বির্তক রয়েছ। কেউ বলে দুপুরে ঘুমানো শরীরের জন্য খারাপ,অনেকের মতে দুপুরে ঘুমালে অতিরিক্ত মেদ জমে। আবার কেউ বলে দুপুরের এই ঘুম শরীরের জন্য ভাল।
দুপুরের খাবার খেয়ে কেন ঘুম আসে
দুপুরে, আমাদের খাবার বাকি সময়ের তুলনায় কিছুটা ভারী হয় এবং এর কারণে ঘুমের হরমোন তৈরি হয়। আসলে, আমরা যখন খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর বেশি ইনসুলিন তৈরি করে এবং চিনির মাত্রা বেড়ে যায়, যা মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় এবং সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোন তৈরি করে, এই দুটি হরমোনই বেশি ঘুমের কারণ হয়।
মেলাটোনিন হল ঘুমের সাথে সম্পর্কিত একটি হরমোন এবং এটি উত্পাদিত হওয়ার সাথে সাথে সবাই বেশি ঘুম পায়। দুপুরে খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে না পড়তে চাইলে গ্রিন টি পান আপনাকে জেগে থাকতে সাহায্য করতে পারে। তাই দুপুরে খাবার ভারী না করার চেষ্টা করুন।
কীভাবে দুপুরের ঘুম থেকে বাঁচবেন
ঠাণ্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে পারেন
গ্রিন টি পান করতে পারেন
ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
কম ঘুম এবং মিষ্টি জিনিস খাওয়া বন্ধ করুন
সঠিক খাবার সময় মেনে চলুন
কারণ দুপুরে ঘুমানো নিয়ে হাজারো বিতর্ক রয়েছে। গবেষণা বলছে, আপনার বয়স যদি ৬০ বছরের বেশি হয়ে থাকে তাহলে ঘুমের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে ভাবতে হবে। দুপুরে ঘুমানো এবং না ঘুমানোর মধ্যে তুলনা করে দেখা গেছে, যারা দুপুরে ঘুমায় না তারা খুব বেশি সুস্থ থাকতে পারেন না। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদের দুপুরে অন্তত ২ ঘন্টা ঘুম শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তবে সেই পরিমাণটা যেন ২ ঘন্টারও বেশি না হয়। তেমনটায় মত বিশেষজ্ঞের।