সংক্ষিপ্ত
আম খাওয়া ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে আম খাওয়া শুরু করুন। আম হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক, এটি বদহজম ও এসিডিটির মতো সমস্যা দূর করে। আমে পাওয়া এনজাইম খাবার হজমে সাহায্য করে।
আমকে শুধু ফলের রাজা বলা হয় না, এর মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। আর এর স্বাদের কথা কী বলব, খেতেও অসাধারন। বেশিরভাগ মানুষ আম পছন্দ করে, আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। আমে ফাইবার, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আম ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। ভারতে এক হাজারেরও বেশি জাতের আম জন্মায়। তাহলে চলুন জেনে নিই আমের উপকারিতা কি এবং এর ব্যবহার কি কি।
আমের উপকারিতা ও ব্যবহার-
আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা শরীরকে ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে। আম ত্বকে পড়া অসময়ের বলিরেখা থেকেও রক্ষা করে। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। একটি সাধারণ আমে আমাদের প্রতিদিন যা প্রয়োজন তার থেকে বেশি ভিটামিন থাকে। আমে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড। আম সার্ভিকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য আম উপকারী। সাধারণ গ্রন্থিতে হওয়া ক্যান্সার থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই পেকটিন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আম খাওয়া ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে আম খাওয়া শুরু করুন। আম হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক, এটি বদহজম ও এসিডিটির মতো সমস্যা দূর করে। আমে পাওয়া এনজাইম খাবার হজমে সাহায্য করে।
যারা এনিমায় ভুগছেন তাদের জন্য আম খুবই উপকারী। আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে আম খেলে শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে এটি রক্তশূন্যতায় কার্যকর ওষুধের মতো কাজ করে। যাদের এই সমস্যা আছে তারা আমের জুস খেতে পারেন, এই জুস আপনার আয়রনের চাহিদা পূরণ করবে।
আরও পড়ুন- বেশি আম খেলে কি সত্যিই ব্রণ হয়, জেনে নিন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত
আরও পড়ুন- খুশকি সমস্যা থেকে নতুন চুল গজানো, কেনা প্রোডাক্ট বাদ দিয়ে ভরসা রাখুন দই ও লেবুর মিশ্রণে
আরও পড়ুন- গরমে ঘামের কারণে চুল পড়া বেড়ে গিয়েছে, জেনে নিন এই সময় কিভাবে রক্ষা করবেন
সাধারণ ব্রণ দূর করতেও এটি খুবই কার্যকরী। আমের পাল্প মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখের ব্রণের বন্ধ ছিদ্র খুলে যাবে। একবার এই ছিদ্রগুলি খুলে গেলে, পিম্পল তৈরি হওয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা শরীরের অভ্যন্তরে কোলাজেন প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে। কোলাজেন শরীরের রক্তনালী এবং সংযোজক টিস্যু রক্ষা করে, যার ফলে ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
আমে ভিটামিন বি-৬ পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্ককে ফিট ও চটপটে রাখে। আমে বিটা-ক্যারোটিন এবং কার্টেনয়েড বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। বিটা-ক্যারোটিন এবং কার্টেনয়েড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এক কাপ আমের রস পান করলে আমরা প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ-এর ২৫ শতাংশ পাই। সেই সঙ্গে এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে।