সংক্ষিপ্ত

অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আম খেলে ব্রণ বের হয়। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এটি সত্যিই ঘটে কিনা? আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন থাকে এবং আপনি বিশ্বাস করেন যে আম খেলে ব্রণ নিরাময় হয়, তাহলে আপনার পুরো সত্যটা জেনে নেওয়া উচিত।

 

মানুষ গ্রীষ্মের ঋতু উপভোগ করতে পারে কারণ এই মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে আম পাওয়া যায়। রসালো ও মিষ্টি আম খেলে মন খুশি হয়ে যায়। তবে প্রায়শই আপনি এমন অনেক লোককে দেখেছেন যারা আম খেতে পছন্দ করেন, তবুও তারা আম খেতে চান না। এর পেছনের কারণ হল ব্রণ এবং ব্রণর দাগ। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আম খেলে ব্রণ বের হয়। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এটি সত্যিই ঘটে কিনা? আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন থাকে এবং আপনি বিশ্বাস করেন যে আম খেলে ব্রণ নিরাময় হয়, তাহলে আপনার পুরো সত্যটা জেনে নেওয়া উচিত।

মুখের জন্য আমের উপকারিতা-

আম খুবই উপকারী একটি ফল। এটি শুধু শরীরের জন্যই উপকারী নয় ত্বকের জন্যও উপকারী। আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যেখানে ভিটামিন এও পাওয়া যায়। এটি কোলাজেন উৎপাদনকেও উৎসাহিত করে। আম রোদের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দিতেও সহায়ক। এখন প্রশ্ন হল এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও আম কীভাবে ব্রণ হতে পারে।

আম খেলে কি সত্যিই ব্রণ নিরাময় হয়?

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে যারা ইনসুলিন প্রতিরোধী তাদের আম খেলে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। কারণ আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে শুধু আম নয়, উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত যে কোনও খাবার খেলে শরীরে ইনসুলিন স্পাইক হতে পারে এবং ব্রণ হতে পারে। একই সঙ্গে অনেক সময় কেমিক্যাল সমৃদ্ধ আম খেলে পিম্পলের সমস্যা দেখা দেয়, যেমন কখনও কখনও ক্যালসিয়াম কার্বাইড আম যা সময়ের আগেই পাকা হয়ে যায়, এমন আম খেলে ব্রণ হয়।

আমরা যখন বাজার থেকে আম কিনে একই সঙ্গে খেতে শুরু করে, তখন ফুসকুড়ি এবং চুলকানির সমস্যা হতে পারে। আসলে, যখন আম খুব গরম থাকে, তখন তা খাওয়া উচিত নয়। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় আনার পরেই এটি খাওয়া উচিত। এমতাবস্থায় আমগুলো প্রায় ১ থেকে ২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রেখে এবং তার পরই খাবেন। এর ফলে এতে থাকা ফাইটিক অ্যাসিডের প্রভাব শেষ হয়ে যায়।

আম সব সময় সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। আম বেশি খাওয়া হলে তা মুখে অতিরিক্ত সিবামের নিঃসরণ ঘটায়, যার কারণে মুখের তেল গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর থেকে ব্রণ বেরিয়ে আসে।

আরও পড়ুন- খুশকি সমস্যা থেকে নতুন চুল গজানো, কেনা প্রোডাক্ট বাদ দিয়ে ভরসা রাখুন দই ও লেবুর মিশ্রণে

আরও পড়ুন- গরমে ঘামের কারণে চুল পড়া বেড়ে গিয়েছে, জেনে নিন এই সময় কিভাবে রক্ষা করবেন

আরও পড়ুন- এই প্রচন্ড দবদাহে ত্বককে সুস্থ রাখতে ও গভীরভাবে পরিষ্কার রাখতে কাজে লাগান চন্দন পেস্ট

কিভাবে আম সেবন করবেন

আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে দিনে একটির বেশি আম খাবেন না।

আম খাওয়ার আগে ২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন, এতে আম খেলে কোনও অসুবিধা নেই।

আমের খোসা আপনার ত্বকে স্পর্শ করতে দেবেন না।