কর্মব্যস্ত জীবনে ঘরে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ভেষজ প্রসাধনী তৈরী করে ব্যবহার করা সময় সাপেক্ষ। তাই বিকল্প কী হতে পারে? এক্ষেত্রে বিউটিশিয়ানরা পরামর্শ দেন, দোকান থেকে হার্বাল শ্যাম্পু কিনে ব্যবহার করতে, তবে তাতে রাসায়নিকের পরিমাণ দেখে নেওয়া উচিত।
মাথা ও চুল পরিষ্কার রাখতে যেকোনো শ্যাম্পু কিনে নিয়ে লাগিয়ে নিলেই হবে না, প্রয়োজন চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পুর ব্যবহার, যা মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবে। বিজ্ঞাপন দেখে বাজার থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন শ্যাম্পু কিনে এনে ব্যবহার করলে তাতে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি। সেদিক থেকে ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদানের উপর নির্ভর করাই ভালো।
বিউটিথেরাপিস্ট স্বাতী দত্তের কথায়, 'যেহেতু আমি ন্যাচারোথেরাপি নিয়ে কাজ করি, তাই আমি সবসময়ে বলব, হার্বাল জিনিসের উপর ভরসা রাখতে। হার্বাল শ্যাম্পু, কন্ডিশনারে সামান্য হলেও রাসায়নিক থাকে, তবে তা থেকে ক্ষতির আশঙ্কা কম'।
অথচ এই কর্মব্যস্ত জীবনে ঘরে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ভেষজ প্রসাধনী তৈরী করে ব্যবহার করা ভীষণ সময় সাপেক্ষ। তাই বিকল্প কী হতে পারে বলে প্রশ্ন থেকেই যায়। এক্ষেত্রে বিউটিশিয়ানরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, দোকান থেকে হার্বাল শ্যাম্পু কিনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিন্তু এক্ষেত্রেও স্বাতী দত্ত সাবধান করছেন, বলছেন, আজকাল হার্বাল শ্যাম্পুর নামে বাজারে রাসায়নিকমিশ্রিত অনেক কিছুই বিক্রি করছে, যা ব্যবহারে মাথার ত্বকের pH ভরসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কেনার আগে কত শতাংশ রাসায়নিক প্রসাধনীতে মিশ্রিত রয়েছে, তা দেখে নেওয়া উচিত।
মাথার ত্বক ও চুলের ধরন অনুযায়ী কী ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত?
১. ফাইন হেয়ার এবং অয়েলি স্ক্যাল্প
সোজা, পাটপাট করা, রেশমের মতো চুল হয়ে থাকলে চোখ বন্ধ করে যেকোনো 'ভলিউমাইজিং শ্যাম্পু' ব্যবহার করতে পারেন, যা চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ২-৩ বার এই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করাই যায়। এতে চট করে মাথার ত্বক তেল তেলে হওয়ার ভয় থাকবে না। আর খুশকির সমস্যা থাকলে আন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে অতি অবশ্যই ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে শ্যাম্পুর পর, এতে চুল ভালো থাকবে।
২. কার্লি হেয়ার এবং ড্রাই স্ক্যাল্প
সাজানো গোছানো কোঁকড়ানো চুল দেখতে সুন্দর লাগলেও যত্ন নেওয়া ভীষণ কঠিন, চুলে জট পড়া, রুক্ষ ও শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। তাই শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার নির্বাচনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে। বিউটিশিয়ানরা কার্লি হেয়ারের যত্নে অয়েল-ইনফিউসড শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৩. নরমাল হেয়ার এবং অয়েলি স্ক্যাল্প
অনেক সময় নরমাল স্ক্যাল্প সামান্য তেলতেলে হলেও তৈলাক্ততা চুলের ডগা পর্যন্ত এসে পৌঁছায় না। এতে স্ক্যাল্পে মৃত কোষ, ঘাম, সেবাম, ধুলো ময়লা জমে চুলের গোড়া নরম হয়ে যাওয়া, চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তৈলাক্ততা দূর করতে ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে আবার চুলের ডগা রুক্ষ হয়ে যেতে থাকে। এই সমস্ত সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু। যা মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে, এবং চুলের আর্দ্রতাও নষ্ট হতে দেয় না।


