সংক্ষিপ্ত
কড়ি পাতা দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক এবং ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে চুলকে প্রাকৃতিক পুষ্টি দিন। কড়ি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং বিটা ক্যারোটিন চুলকে ঝলমলে, মজবুত এবং খুশকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
বাজারের নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময় চুলের সমস্যার সমাধান হয় না। বেজান এবং রুক্ষ চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করার জন্য অনেকেই অনেক টাকা খরচ করেন। যদি আপনার বাড়িতে কড়ি পাতা থাকে তবে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে সাহায্য করতে পারে। কড়ি পাতার পেস্ট ব্যবহার করে চুলের নানা সমস্যা দূর করা যায়।
কড়ি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। কড়ি পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। যাদের চুলে সংক্রমণের সমস্যা হয়, তাদের জন্য কড়ি পাতা বरदानের মতো। আসুন জেনে নিই কিভাবে কড়ি পাতার পেস্ট ব্যবহার করে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করা যায়।
আমলকীর সাথে মেশান কড়ি পাতার পেস্ট
চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি চান, তাহলে কড়ি পাতা দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি আমলকীর গুঁড়োর সাথে গুঁড়ো মেথি, কড়ি পাতার পেস্ট, অ্যালোভেরা জেল, নারকেল তেল ইত্যাদি মিশিয়ে নিন। এবার চুলে এই পেস্টটি ৪০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার কড়ি পাতার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুল মজবুত হবে এবং ঝলমলে দেখাবে।
চুলে লাগান কড়ি পাতা এবং কর্পূর
আপনি কড়ি পাতা বেটে তার সাথে কর্পূরের তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুল এবং মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনি ১৫ দিন বা ১ মাস অন্তর এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করেন তাহলে খুশকি দূর হবে এবং বেজান চুল মজবুত হবে।
দই এবং কড়ি পাতার পেস্ট
চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য আপনি কড়ি পাতার সাথে দই ব্যবহার করতে পারেন। কড়ি পাতা বেটে নিন। এবার চার চামচ দইয়ের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। আপনি চাইলে অলিভ অয়েলের কয়েক ফোঁটাও মেশাতে পারেন। এতে চুল নরম হবে। হেয়ার মাস্কটি ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুলে আলাদা ঔজ্জ্বল্য দেখা যাবে এবং খুশকিও দূর হবে।
কড়ি পাতা এবং নারকেল তেল
যদি আপনি কড়ি পাতার পেস্ট ব্যবহার করতে না চান তাহলেও কড়ি পাতার হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। একটি প্যানে নারকেল তেল গরম করুন। ২০-২৫ টি কড়ি পাতা তেলের মধ্যে ছেড়ে দিন। এতে কড়ি পাতার পুষ্টিগুণ তেলে চলে আসবে। এবার ধীরে ধীরে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। প্রায় ২ ঘন্টা পরে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল খুব নরম লাগবে।
যদি আপনার কাছে কড়ি পাতার হেয়ার মাস্ক তৈরি করার সময় না থাকে তাহলেও আপনি একটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। হেয়ার অয়েলে কড়ি পাতা গরম করে ছেঁকে একটি বোতলে রেখে দিন। যখনই চুলে মালিশ করার সময় পাবেন, কড়ি পাতার তেল লাগান। ২ ঘন্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতেও আপনার চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে এবং বেজান দেখাবে না।