অফিস মিটিংয়ে পোশাক-আশাকের মাধ্যমে নিজের পেশাদারিত্ব ফুটিয়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ টিপস। ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল পোশাকের ধরণ, গয়না, মেকআপ এবং পরিপাটি উপস্থিতির জন্য করণীয় সম্পর্কে জানুন।

ধরুন আজ রাতে জানতে পারলেন কাল সকালে অফিসে একটি জরুরী মিটিং রয়েছে। প্রেসেন্টেশনের জন্য আপনাকে বাছা হয়েছে, হয়তো প্রমোশন বা পছন্দের জায়গায় বদলিও হয়ে যেতে পারে। রাত জেগে তার প্রস্তুতি নিলেন, আর সকালে উঠে দেখছেন মিটিং-এ নিজেকে প্রেসেন্ট করার মতো পোশাক খুঁজে পাচ্ছেন না।

কিন্তু তাড়াহুড়ো থাকলেও কর্পোরেট পরিবেশে পোশাক নির্বাচনে খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ, পোশাক আপনার পেশাদারিত্ব এবং ব্যক্তিত্ব - দুটোই তুলে ধরে। পোশাকের পরিচ্ছন্নতা বা যা খুশি পরে গেলে ওপর পক্ষ হয়তো আপনার কথা শুনতেই আগ্রহী হবে না। কারণ কথায় আছে, প্রথমে দেখনদারী, তারপর গুণ বিচারী।

অফিস মিটিংয়ে কীভাবে নিজেকে প্রেসেন্ট করতে পারেন ?

কর্পোরেট অফিসে মিটিং থাকলে সর্ব প্রথম উপযুক্ত ফর্ম্যাল ড্রেস নারী পুরুষ নির্বিশেষে। অর্থাৎ ফুল অথবা হাফ হাতা শার্ট, ফুল প্যান্ট, ব্লেজার, এর সাথে টাই। তবে সাধারণ দিনে ক্যাজুয়াল ড্রেস হিসেবে শার্ট, জিন‌্স, সঙ্গে মানানসই লোফার্স বা স্নিকার্স পরতে পারেন। গরমে গায়ে দুর্গন্ধ হলে হালকা বডি-স্প্রে। জুতো এবং বেল্টের রঙে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করবেন।

মেয়েদের ক্ষেত্রেও ফর্মাল হিসেবে শার্ট প্যান্ট ব্লেজার ছাড়াও স্কার্ট-টপ ব্লেজার পড়তে পারেন। ক্যাজুয়াল হিসেবে সালোয়ার-কামিজ, পালাজো-টপ, শাড়ি পরা যেতে পারে। কর্পোরেট স্যুটও পরতে পারেন। চেহারার গড়ন ও ঋতু অনুযায়ী আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন, নিজে কমফোর্টেবল থাকবেন।

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে হালকা গয়না পরা যেতেই পারে। পোশাক অনুযায়ী হালকা ভারী বা রং বেছে গয়না পড়তে হবে।

কী কী পড়বেন না

ছেলেদের ক্ষেত্রে ফরমাল প্যান্ট বা জিন্স ছাড়া ট্রাউজার্স, জগার্স বা হাফ প্যান্ট পড়বেন না অফিসে। ঢোলা শার্ট, ব্লেজ়ার প্যান্ট একেবারেই বেমানান। বিচে ঘুরতে যাওয়া বা পার্টিতে যাওয়ার মত প্রিন্টেড শার্ট, বা ছেড়া, রঙিন, ডিজাইনার জিন্স ব্যবহার এড়িয়ে চলাই ভালো। ব্লেজার শার্ট প্যান্টের সাথে স্নিকার্স নয়। হালকা eye soothing রঙের জামা কাপড়, জুতো, টাই পড়তে হবে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে, খুব চকচকে শাড়ি বা চুড়িদার পড়বেন না। ব্লেজার শার্ট প্যান্ট পড়ার নিয়ম পুরুষদের মতোই। তবে অন্যান্য জামা কাপড়ের মধ্যে খুব ছোট, খুব রঙ চড়া বা ডিজাইন ড্রেস পড়ার দরকার নেই। ছিমছাম গোছের জামা ও তার সাথে মানানসই হালকা জুয়েলারিই যথেষ্ট।

মেকাপ কেমন হওয়া উচিত?

অফিসের জন্য মেকআপ হবে ছিমছাম। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে, সান্সক্রিম আর ফাউন্ডেশন, ও মেকাপ করুন। তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ যেন অতিরিক্ত সাদা বা চোখ ও ঠোঁটে ভারী মেকাপ না হয়ে যায়। পরিপাটি করে চুল আচড়াতে হবে পোশাক অনুযায়ী। কাজ বা মিটিংয়ের মাঝে বার বার মুখের সামনে চুল উড়ে আসা দেখতে ভালো লাগবে না, আপনার বিরক্তিও হতে পারে। জুতো নিজের জন্য আরামদায়ক হলেই হবে, খুব হাই হিল বা স্টাইলিশ যত পোশাকের সাথে নাও মানাতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে নখ কেটে পরিষ্কার করে, চুল দাড়ি পরিপাটি করে অফিস যাওয়াই শ্রেয়। তবে নিজের টুইকের খেয়াল রাখা জরুরি।