সংক্ষিপ্ত

জনপ্রিয় ত্বকের যত্ন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক টানটান এবং বলিরেখা কমাতে রেটিনয়েডস ক্রিম, কেমিক্যাল পিল, আল্ট্রাসাউন্ড, রেডিওফ্রিকোয়েন্সি এবং ম্যাসাজ টুলসের মতো চিকিৎসা ২০২৪ সালে জনপ্রিয় ছিল। জেনে নিন এদের বিশদ।

 বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন কমতে শুরু করে। এর ফলে ত্বক ঝুলে পড়ে এবং তাতে বলিরেখা দেখা দেয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও ত্বকের টিস্যু দুর্বল হতে শুরু করে। এর সবকটির প্রভাব ত্বকে দেখা যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বককে তরুণ রাখতে আজকাল অনেক চিকিৎসা পাওয়া যায়। ২০২৪ সালে, মানুষ ত্বক টানটান করার জন্য একের পর এক চিকিৎসা বেছে নিয়েছে। জেনে নিন কোন ত্বকের চিকিৎসা জনপ্রিয় ছিল।

তরুণ ত্বকের জন্য রেটিনয়েডস ক্রিমের ব্যবহার

সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্বক বিশেষজ্ঞরা ত্বককে তরুণ রাখতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরাম এবং রেটিনয়েডস ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। বাজারে আজকাল রেটিনয়েডস ক্রিমের অনেক বিকল্প রয়েছে। ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা কমে এবং ত্বক কোমল হয়। যাদের ত্বক বয়স বাড়ার সাথে সাথে রুক্ষ হয়ে গেছে, তাদের জন্যও এই ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কেমিক্যাল পিল দিয়ে ত্বক টানটান

ত্বক টানটান করার জন্য কেমিক্যাল পিলের ব্যবহারও মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিল। কেমিক্যাল পিল মুখে লাগালে মৃত ত্বক সরে যায় এবং বলিরেখাও কমে যায়। কেমিক্যাল পিল মুখের পাশাপাশি ঘাড়েও ব্যবহার করা হয়। এতে মুখে উজ্জ্বলতা আসে এবং ত্বকও তরুণ দেখায়। 

ত্বক টানটান করার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড

আল্ট্রাসাউন্ডের সাহায্যেও ত্বক টানটান করা মানুষের পছন্দের ছিল। এই প্রক্রিয়ায় তাপ ব্যবহার করা হয় যাতে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো যায়। ত্বকের উপরিতলে আল্ট্রাসাউন্ড শক্তি কেন্দ্রীভূত করা হয়। এতে ত্বকের গভীর স্তরে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়।

রেডিওফ্রিকোয়েন্সি চিকিৎসা

ত্বকের বাইরের স্তরে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি চিকিৎসার সাহায্যে কেন্দ্রীভূত করা হয়। চিকিৎসার সময় কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো হয়। এর ফলে ত্বকের বলিরেখা কমে এবং ত্বকে সতেজতা দেখা দেয়।

ম্যাসাজ টুলের ব্যবহার

মুখকে তরুণ রাখতে বাজারে আজকাল ম্যাসাজ টুলও পাওয়া যায়। এই ম্যাসাজ টুল ব্যবহার করলে মুখের রক্ত ​​​​প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বার্ধক্য বিরোধী প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। একটি গবেষণায়ও দেখা গেছে যে ম্যাসাজ করলে মুখে বার্ধক্য বিরোধী ত্বকের ক্রিমের মতো প্রভাব দেখা যায়।