সংক্ষিপ্ত
সর্ষের তেলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অনেক গুণ। রূপচর্চায় এই সর্ষের তেল বহুল প্রচলন রয়েছে। যা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
অনেকেই চুল ও ত্বকে সরষের তেল লাগান। অন্যদিকে সরষের তেল চুল মজবুত ও কালো করতে কার্যকর। এই তেলে উপস্থিত বৈশিষ্ট্য চুলের গোড়া মজবুত করতে পারে। আবার লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগালে খুশকির সমস্যাও কমে যায়। ঠাকুমা-দিদিমাদের আমলে এতকিছু বায়নাক্কা ছিল না। খাটি সর্ষের তেলেই ত্বক থেকে শুরু করে চুল, সারা শরীরের পরিচর্যা করতেন। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। এখনকার দিনে সর্ষের তেলের বদলে জায়গা করে নিয়েছে বাজারচলতি বিভিন্ন তেল। কিন্তু সর্ষের তেলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অনেক গুণ। রূপচর্চায় এই সর্ষের তেল বহুল প্রচলন রয়েছে। যা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে এখানে আমরা আপনাদের বলব সরষের তেল ও লেবু চুলে লাগালে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
লেবুর রসে সরষের তেল মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়-
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার-
সরষের তেল আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা আপনার চুলের আর্দ্রতা প্রদান করে। আপনি যদি প্রতিদিন আপনার চুলে সরষের তেলের সাথে লেবু মিশিয়ে লাগান তবে এটি আপনার চুলকে সতেজ এবং বাউন্সি রাখে। আর সরষের তেলের সাথে লেবু মিশিয়ে চুলে লাগালেও চুল নরম হয়।
চুলে পুষ্টি যোগায়
চুল পড়া ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই বিরক্ত। চুল পড়া ও ভাঙ্গার কারণ হলো চুলের সঠিক পুষ্টি না পাওয়া। এর ফলে আপনার চুল ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে। অন্যদিকে, আপনি যদি প্রতিদিন সরষের তেল দিয়ে আপনার চুলে ম্যাসাজ করেন তবে আপনার চুল ভেতর থেকে শক্ত হয়ে ওঠে। তাই প্রতিদিন চুলে তেল না লাগাতে পারলে, লাভ হবে না।
খুশকি-
সরিষার তেল এবং লেবুর রস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ, যা খুশকির জন্য উপকারী, এটি খুশকির সমস্যা কমায়। তাই খুশকির সমস্যায় অস্থির থাকলে সপ্তাহে ২ বার এই তেল লাগাতে হবে। আবেদন করতে হবে।
বর্ষাকালে চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল প্রত্যেকে। চুল ঝরতে ঝরতে টাক বেরিয়ে গেছে। এই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। সর্ষের তেল নিয়মিতভাবে মাথায় ব্যবহার করলে খুসকি, চুল পড়ার মতো বর্ষাকালীন সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্তি পাওয়া যায়। শ্যাম্পু করার কিছুক্ষণ আগে বা আগের দিন সর্ষের তেল গরম করে ভাল করে সারা মাথায় ম্য়াসাজ করুন। তারপর কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।