দামি শ্যাম্পু তেল সিরাম মেখে চুল ঝরা কমলেও গজাচ্ছেনা নতুন চুল। রইলো কিছু সহজ টিপস।
চুল ঝরার সমস্যা এখন ৮ থেকে ৮০, প্রায় সকলেরই। মুক্তির উপায় খুঁজতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকা সবই ব্যাবহার করা হয়ে গেছে । তারপরেও চুলের গোছা আর ফিরছে না।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শরীরের বাইরে থেকে যেমন পরিচর্যা দরকার, দরকার ভেতর থেকে চুলকে মজবুত করা। তাঁর জন্য চুলকে দিতে হবে ভিটামিন ডি ছাড়াও ভিটামিন সি, বয়োটিন, জিঙ্ক, আয়রন সহ আরও কিছু খনিজ। উল্লিখিত খনিজ সমৃদ্ধ ফল সবজি যেমন, কলা, পেঁপে, লেবু, আমলকি, পালং শাক, আভোকাডো, স্যালমন মাছ, আখরোট ও আমন্ড বাদাম, ফ্লেক্স সিড, মেথি ইত্যাদি খেতে হবে। এসবের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ভিটামিন ই, ডি ও সি টেবলেট, কড লিভার অয়েল ক্যাপসুল ইত্যাদিও ব্যবহার করা যায়। তবে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করে তবেই সাপ্লিমেন্টস খাওয়া উচিত নাহলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থেকেই যায়।
চিকিৎসকদের মতে, সামান্য চুল ঝরবেই। চুল গজানো থেকে শুরু করে চুল ঝরা- গোটা প্রক্রিয়াই চক্রাকারে ঘোরে। চুল ঝরে যাওয়ারও আলাদা আলাদা কারণ রয়েছে। শারীরিক কোনও সমস্যা, মানসিক চাপ কিংবা মহিলাদের ক্ষেত্রে পিসিওডি বা গর্ববস্থার পরবর্তী সময়ে হরমোনের ভরসাম্যহীনতার কারণে চুল ঝরা বেড়ে যায়। শরীরের পুষ্টিগুণ বজায় রাখার পাশাপাশি বাইরে থেকেও চুলের পরিচর্যা দরকার। তবে অতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার ক্ষতিগ্রস্ত করে চুল ও স্ক্যাল্পকে। নিয়মিত চুল ধোয়া, স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করা যাতে রক্ত চলাচল ভালো হয় ও চুলের গোড়া মজবুত হয়।
ঘরোয়া উপায়ে চুলের প্যাক বা তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারলেই চুলের সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। ১. প্যাক বানানোর জন্য - কলা, ডিম, চাল ভেজানো জল বা ফ্লেক্স সিড সেদ্ধ জল দিয়ে মসৃণ পেস্ট করে প্যাক বানিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। ২. তেল বানানোর জন্য - নারকেল তেলের মধ্যে মেথি, কালোজিরে, জবাফুল, আমলকি, করিপাতা দিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়মিত মাথায় লাগাতে পারেন এই তেল।
এই সবের সঙ্গে দরকার শরীরচর্চা, যথেষ্ট পরিমান ঘুম এবং জল পান। এমনকি খাদ্যভ্যাসের দিকেও নিজের দিতে হবে।
