দই, দুধ এবং টমেটোর মতো প্রাকৃতিক উপাদান ত্বক পরিষ্কারে অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো ত্বকের ময়লা দূর করে, আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ışıল ışıল করে তোলে। এই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক পরিষ্কার করলে রাসায়নিকযুক্ত ফেসওয়াশের প্রয়োজন হয় না।

অনেকেই মনে করেন ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করার পদ্ধতি সবচেয়ে ভাল। বিশেষ কথা হল আমাদের রান্নাঘরেই এমন অনেক জিনিস আছে, যা কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বককে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর করতে পারে। এর মধ্যে দই, দুধ এবং টমেটো অন্তর্ভুক্ত। আসুন জেনে নেই এর উপকারিতা।

দই দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন

দই ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করে এবং মৃত ত্বক দূর করে। দই লাগালে ত্বক নরম এবং আর্দ্র থাকে। এটি ট্যানিং কমাতেও সাহায্য করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন: এক চামচ দই তুলা বা হাত দিয়ে পুরো মুখে লাগান। ৫-৭ মিনিট পর হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ২ মিনিট রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন মুখে দই ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ışıল ışıল করতে শুরু করবে।

দুধ- প্রাকৃতিক ক্লিনজার

দুধকে সবসময়ই সেরা প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং ময়লা দূর করে। নিয়মিত দুধ দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক ışıল ışıল এবং নরম হয়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন: তুলার বল কাঁচা দুধে ডুবিয়ে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন

টমেটো ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করার পাশাপাশি তেল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এতে থাকা লাইকোপিন ত্বককে রোদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন: টমেটোর একটি টুকরো নিয়ে মুখে ঘষুন অথবা এর রস লাগান। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি নিয়মিত এই তিনটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ত্বক পরিষ্কার করেন, তাহলে কেবল আপনার ত্বকই ışıল ışıল হবে না, রাসায়নিকযুক্ত দামি ফেসওয়াশেরও প্রয়োজন হবে না।