সংক্ষিপ্ত

প্রবল গরমে তাপের কারণে ফুসকুড়ি, জ্বালা আর ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে রইল কয়েকটি আয়ুর্বেদিক টিপস।

 

প্রবল গরমে ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। অনেকের ত্বক জ্বালা করে। কারও ত্বকে ব়্যাস হয়। প্রবল তাপের কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়। গরমকালে ঘাম ধুলোবালি থেকে এজাতীয় সমস্যা তৈরি হয়। প্রবল গরমে তাপের কারণে ফুসকুড়ি, জ্বালা আর ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে রইল কয়েকটি আয়ুর্বেদিক টিপস। তবে সবার আগে মনে রাখতে হবে গরমকালে কখনই আঁটোসাঁটো পোশাক পরা ঠিক নয়। তাতে ত্বকের সঙ্গে ঘর্ষণ ও দীর্ঘক্ষণ ঘামের কারণে এজাতীয় সমস্যা সারে না।

অফিস বা কলেজগামী পুরুষ বা মহিলাদের সাধারণত এজাতীয় সমস্যা দেখা যায়। ক্রমাগত চামড়া চুলকায়। যারকারণে এটি খুবই দৃষ্টিকটু লাগে। গরমে আরাম পেতে আর ফুসকুড়ি নিরাময়ের জন্য পাঁচটি আয়ুর্বেদিক প্রতিকার রইলঃ

চন্দন

চন্দন ত্বকের জন্য উপকারী। বাড়িতে থাকার সময় ত্বক ভাল করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে চন্দনের প্রলেপ লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছুক্ষণ পরে তা ধুয়ে ফেলুন। তাতে ত্বকের ফুসকুড়ি বা ঘামাচির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। লাল বা সাদা - যে কোনও রঙের চন্দন ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা

বাংলায় ঘৃতকুমারী। এটি ত্বকের জন্য উপকারী। জেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আবার অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে শাঁস বার করে নিয়ে তা সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে শীতল অনুভূতি পাবেন। তারপর তা দেখবেন ত্বকের সমস্যাও অনেক কমে যাবে। অ্যালোভেরা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে কেটে যাওয়া স্থানে লাগালেও উপকার পাবেন।

মুলতানি মাটি

এটি ত্বকের ফুসকুড়ি বা ঘামাচির সমস্যা দূর করতে পারে। এটি গোলাপ জলে গুলে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর বরফ লাগাতে পারেন। এতে গরমকালে উপকার পাবেন।

শসা

শসায় রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ট্যানিন যা তাপের ফুসকুড়ি উপশম করতে সাহায্য করে। মধু এবং গোলাপ জলের সাথে শসা টুকরো টুকরো করে ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। ৩০ মিনিটের জন্য আবেদন করুন।

লেবু

গরমকালে ত্বকের জন্য উপকারী হল লেবু। এটি ত্বকে লাগাতে পারেন। তবে সরাসরি ত্বকে না লাগিয়ে গোলাপজল বা গুলে লাগাতে পারেন। অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাবেন। ত্বকে জ্বালা ভাব কমায়। ফুসকুড়ি বা ঘামাচি থেকে মুক্তি দেয়।