Skin care: চা পাতার ব্যবহারে আপনার চুল থেকে শুরু করে ত্বক পর্যন্ত কি কি উপকারিতা পায় তা জেনে নিন। গ্রিন টি রূপচর্চায় গুরুত্বপরূর্ণ। চা পাতা দিয়েই রূপ চর্চা করা যায়।
চা-পাতার ব্যবহারে ত্বকের নানা ধরনের উপকার হয়। চায়ে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভেষজের কাজ করে। দরকার শুধু সঠিকভাবে নিয়ম মেনে ব্যবহার। চায়ে থাকা ক্যাফেইন ত্বকের নিচে রক্তজালকে সংকুচিত করে এবং কালো দাগ দূর করে। পানীয় নয়, এ আসলে গুণের খনি। শুধু শরীরকে এনার্জি যোগানোই নয়, চায়ের পাতায় রয়েছে আরও একাধিক কার্যকারিতা । এর আগে চুলের শ্রীবৃদ্ধির জন্য চায়ের গুণের কথা জানা গেলেও ত্বকের উপর এর প্রভাব নিয়ে তেমন কোনও আলোচনা শোনা যায়নি। কিন্তু এবার সামনে এসেছে চায়ের অভূতপূর্ব কিছু গুণের কথা!
চা পাতার ৫টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা:
* হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী : নিয়মিত কিন্তু সীমিত পরিমাণে চা পান করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে ব্ল্যাক টি এবং গ্রীন টি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* মানসিক চাপ কমায় : চা পাতায় থাকা প্রাকৃতিক ক্যাফেইন মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে এবং অবসাদ বা মানসিক ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম চা মুহূর্তেই মন ভাল করে দেয়, মুড লিফটার হিসাবে কাজ করে এবং কাজে মনোযোগ বাড়ায়।
* হজমে সহায়ক : খাওয়ার পরে এক কাপ চা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এটি পেটের গ্যাস এবং বদহজম থেকে আরাম দেয়। বিশেষ করে গ্রিন টি বা লেবু চা খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে এবং হজমের সমস্যার প্রকোপ কমায়।
* চুলের জন্য উপকারি: ২৫০ মিলিলিটার জলে ১ চা-চামচ গ্রিন–টি মেশান। স্প্রে বোতলের মাধ্যমে মাথার ত্বকে স্প্রে করুন। খেয়াল রাখতে হবে চুলে যেন না লাগে। তাহলে আবার চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুশকি এবং সব ধরনের ছত্রাকজাতীয় সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। চুলে খুশকির জন্য ৩ চা-চামচ গ্রিন–টি অল্প জলে ভিজিয়ে রাখুন ৪-৫ ঘণ্টা। ১০০ মিলিলিটার নারকেল তেলে ভিজিয়ে রাখা গ্রিন–টি জ্বাল দিন। অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন, যতক্ষণ না গ্রিন-টির জল শুকিয়ে যায়। জল শুকিয়ে এলে ছেঁকে কাচের বোতলে ভরে রাখতে পারেন। তুলার সহায়তায় মাথার ত্বকে লাগান। চাইলে ৩০ মিনিট পর এটি শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন, অথবা সারা রাত রেখেও শ্যাম্পু করা যায়। এতেও ছত্রাকের সংক্রমণ কমে আসবে।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : গ্রীন টিতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এটি মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে না। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য গ্রীন টি হতে পারে একটি কার্যকরী পানীয়।


