ইউরিয়া নেই এমন মুড়ি খেলে কি হয় জানেন? জানলে একেবারে চমকে উঠবেন...
- FB
- TW
- Linkdin
মুড়ির স্বাদের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। সকালের নাস্তায়, বিকেলের জলখাবারে নানাভাবে মুড়ি খাওয়া যায়। যেভাবেই খান না কেন, স্বাদ অসাধারণ। তাই বাচ্চা থেকে বড় সবাই মুড়ি পছন্দ করে। শুধু সুস্বাদুই নয়, মুড়ি আমাদের শরীরের জন্যও উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মুড়ি খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়, তা জেনে নেওয়া যাক।
মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
সহজ টিফিন
হ্যাঁ, মুড়ি দিয়ে খুব সহজেই, দ্রুত এবং সুস্বাদু টিফিন তৈরি করে খাওয়া যায়। প্রতিদিন ভাত খেতে বিরক্ত হলে মুড়ি দিয়ে নাস্তা করতে পারেন। মুড়ি কিনে জলে ভিজিয়ে, সামান্য তেল, সরিষা দিয়ে ফোড়ন দিয়ে ভেজে নিলেই হল। মাত্র দশ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু নাস্তা। সবারই পছন্দ হবে এর স্বাদ।
অজীর্ণতা
মুড়ি ভাতের মতো নয়। ভাত হজম হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু মুড়ি খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়। এটি খেলে আপনার হজমশক্তি ভালো থাকে। মুড়ি খেলে অজীর্ণতার সমস্যা হয় না।
শক্তি
ভাতের মতো মুড়িতেও প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়। মুড়ি খেলে সারাদিন ফুরফুরে থাকা যায়। ক্লান্তি দূর হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
মুড়ি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মুড়ি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
মুড়ি আমাদের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে। এটি আমাদের শরীরকে সক্রিয় রাখে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং এর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমায়
মুড়ি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ভাত খেলে ওজন কমবে না। ভাতের পরিবর্তে ফাইবারযুক্ত মুড়ি খেলে ওজন কমবে। ওজন কমাতে চাইলে মুড়ি ভালো খাবার।