সংক্ষিপ্ত

কাঁচা আমলকি খাওয়া হল সর্বাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়ার সেরা উপায়। তবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমলকির স্বাদ খুব কষা হয়। যা অনেকেই পছন্দ করে না।

 

 

শীতকালের সুপারফুড আমলা। এর ব্যাপক পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি বিপাকক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে আমলকি পাওয়া যায়। যা নিয়মিত খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। ভিটামিন বি 5, ভিটামিন বি 6, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাসিয়ামের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। শীতকালে উপকারের জন্য তিন রকম আমলা রস পান করতেই পারেন।

কাঁচা আমলকি খাওয়া হল সর্বাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়ার সেরা উপায়। তবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমলকির স্বাদ খুব কষা হয়। যা অনেকেই পছন্দ করে না। একটি বিকল্প সমাধান হল আমলার রস পাতলা করে রস তৈরি করা। শীতের মৌসুমে সুস্থ থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এখানে আমলা জুসের কিছু রকম রয়েছে।

আমলা ও জিরা রস

আমলার রসের সঙ্গে জিরা ভেজে তা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। তাতে সুস্বাদু হয়। জিরাতে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের উপস্থিতির কারণে পানীয়টি স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। রোজ সকালে খালিপেটে এই রস পান করতে পারেন।

আমলা ও আদার রস

আদা আরেকটি সুপারফুড যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। শীতকালে শরীর গরম করার কাজে আদা লাগে। গলাব্যাথা ও সর্দিকাশির প্রকোপ থেকে দূরে রাখে। আমলা-আদার জুস তৈরি করতে ব্লেন্ডারে ১-২টি আমলা, এক চামচ আদার রস, ৩-৪টি পুদিনা পাতা এবং এক কাপ হালকা গরম পানি মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি গ্লাসে ঢেলে তাতে কিছু কালো মরিচ ও চাট মসলা দিন। আপনার পানীয় পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।

সাধারণ আমলা রস

প্রেসারকুকারে কয়েকটি আমলকি ও সমপরিমাণ জল মিশিয়ে কয়েকটি সিটি দিয়ে দিন। তারপর সেটি কাথ তৈরি করে একটি এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে ফ্রিজে রাখুন। মিশ্রণটি এক চামচ এক গ্লাস জলে মিশিয়ে নিয়মিত সকালে পান করুণ। তবে বেশি পরিমাণে কাথ তৈরি করবেন না। তাতে উপকারিতা কমে যায়। তিন ৭-৫এর মত কাথ তৈরি করুন। নিয়মিত খেলে উপকারিতা পাবেন।