এই ৫ সুপারফুড নিয়ন্ত্রণে রাখবে আপনার রক্তচাপ থেকে ওজন-সহ আরও অনেক রোগ
- FB
- TW
- Linkdin
অতিরিক্ত ওজন এবং ডায়াবেটিস উভয়ই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনি কি জানেন? অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। স্থূলতার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এই রোগগুলি এড়িয়ে চলা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারগুলি উপকারী।
রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী খাবার
পালং শাক
পালং শাক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে, পালং শাক আমাদের অনেক রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং আয়রন রয়েছে। এছাড়াও, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়ামও রয়েছে।
এই শাক খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই শাকে উপস্থিত ফাইবার এবং জল আপনাকে সুস্থভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। পালং শাকে উপস্থিত নাইট্রেট নামক যৌগটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও, পালং শাকে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
বাদাম
বাদাম আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে। বিশেষ করে, এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
এছাড়াও, বাদামে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এর জন্য বাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে।
ভেন্ডি
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য ভেন্ডি খুবই উপকারী। ভেন্ডি খেলে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ওটস
ওটসে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি খেলে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। ওটসে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, লোহা এবং জিংক রয়েছে। এছাড়াও, ওটসে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার বিটা-গ্লুকেন থাকে।
এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি খেলে আপনি প্রাণবন্ত থাকবেন এবং ওজনও কমবে।
রাগি
রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। রাগি খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমে। এছাড়াও, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাগিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। রাগি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে।