সংক্ষিপ্ত

শীতকালে জ্বর-সর্দি-কাশি ঠেকানোর জন্য এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রত্যেক দিন মাত্র এক চামচ চবনপ্রাশ খেলেই শরীর থাকবে তরতাজা। এই চবনপ্রাশ ইচ্ছে করলেই বানিয়ে নিতে পারবেন বাড়িতে।

শীতকাল এলেই বাড়িতে বাড়িতে গুরুত্ব বেড়ে যায় চবনপ্রাশের। সুস্বাদু এই ভেষজ টোটকা, ছোট থেকে বড়, বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাছেই খুব প্রিয়। নানা আয়ুর্বেদিক গুণে ভরপুর থাকে চবনপ্রাশ। শরীর গরম রাখতেও খুবই সাহায্য করে বিভিন্ন জরিবুটি দিয়ে তৈরি এই মিশ্রণ।

এছাড়াও শ্বাসনালি সচল রাখতে চবনপ্রাশের জুড়ি মেলা ভার। চবনপ্রাশ খেলে শরীরে এনার্জিও বাড়ে। শীতকালে জ্বর-সর্দি-কাশি ঠেকানোর জন্য এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রত্যেক দিন মাত্র এক চামচ চবনপ্রাশ খেলেই শরীর থাকবে তরতাজা। এই চবনপ্রাশ ইচ্ছে করলেই বানিয়ে নিতে পারবেন বাড়িতে।

জেনে নিন তার সহজ রেসিপ – :

উপকরণ

আমলকী এক কাপ, গুড় এক কাপ, মধু আধা কাপ, ঘি আধা কাপ, তিল তেল আধা কাপ, এলাচ গুঁড়ো এক চামচ, ত্রিফলা গুঁড়ো এক চামচ, চন্দন গুঁড়ো এক চামচ, গোললঙ্কা গুঁড়ো এক চামচ, আদা গুঁড়ো এক চামচ, দশমূল গুঁড়ো এক চামচ, তেজপাতা ৪-৫টি, জায়ফল গুঁড়ো এক চামচ, লবঙ্গ গুঁড়ো এক চামচ, দারচিনি গুঁড়ো এক চামচ, মুগশিরা আধা চামচ ও নাগকেশর আধা চামচ।

বানানোর প্রক্রিয়া

সব গুঁড়ো পাউডার একটা কাচের বাটিতে মিশিয়ে রাখুন। আমলকী ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। কাঁটা দিয়ে আমলকীর গা চিরে নিয়ে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ আমলকীর বীজ ফেলে চটকে চালুনি দিয়ে ছেকে রাখুন। একটি পাত্রে ঘি ও তেল গরম করে গুড় দিন। আমলকীর ক্বাথ দিয়ে আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন। জল শুকিয়ে গেলে পাউডারের মিশ্রণ দিয়ে দিন। খুব ভালো করে মেশান। অল্প আঁচে কিছুক্ষণ জ্বালিয়ে উনুন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার এই মিশ্রণের সঙ্গে মধু মেশান।

কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। বাড়ির ছোট বড় সবাই প্রতিদিন সকালে মাত্র এক চামচ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়বে।