সংক্ষিপ্ত

বাদামের শুধু উপকারিতাই নয়, এর অপকারিতাও রয়েছে প্রচুর।। অনেক সময় অতিরিক্ত বাদাম খেলে উপকারের বদলে হবে মারাত্মক ক্ষতি। জেনে নিই বাদাম খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো...

 

বাদাম হল পুষ্টির ভান্ডার। এতে প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং ফাইবার সহ অনেক ধরণের পুষ্টি পাওয়া যায়। বাদাম খাওয়ার অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন এটি খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। এ ছাড়া বাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, ওজন কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে এবং চুল ও ত্বকের উন্নতিতে সাহায্য করে। তবে বাদামের শুধু উপকারিতাই নয়, এর অপকারিতাও রয়েছে প্রচুর।। অনেক সময় অতিরিক্ত বাদাম খেলে উপকারের বদলে হবে মারাত্মক ক্ষতি। জেনে নিই বাদাম খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো...

 

১) স্টোনের সমস্যা থাহলে বাদাম খাবেন না-

যাদের কিডনিতে পাথর আছে তাদের বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। আসলে বাদামে অক্সালেটের পরিমাণ অনেক বেশি। অত্যধিক বাদাম খেলে স্টোনের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

 

২) পেট ফুলে যেতে পারে

বাদামে বেশি ফাইবার পাওয়া যায়। এর অত্যধিক সেবনের ফলে পেটে ভারি হয়ে যেতে পারে অর্থাৎ ফুলে যাওয়া। ডায়রিয়া ও পেটে ব্যথার সমস্যাও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বেশি বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। অন্যথায় আপনার শরীর খারাপ হতে পারে।

 

৩) ওরাল সমস্যা বাড়তে পারে-

কাঁচা বাদাম অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেশি পরিমাণে বাদাম খেলে মুখে অ্যালার্জি, গলা ব্যথা এবং ঠোঁট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও আরও অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

 

৪) পুষ্টির শোষণ ধীর হতে পারে

বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে, শরীরে আয়রন, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি শোষণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। অতএব, বাদাম শুধুমাত্র সীমা ব্যবহার করা উচিত।

 

৫) অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে

আপনি যদি প্রায়শই পেটে জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে বাদাম খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এটি আপনার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বাদাম না খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।