সংক্ষিপ্ত

ভাত ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন এক বিশেষ খাবার, যা বাচ্চা থেকে বুড়ো হাত চেটে খাবে। সেই বিশেষ খাবার হল ইডলি। বা বলা ভালো ভাতের ইডলি।

আপনি যতই মেপে বুঝে চাল নিন না কেন, অনেক সময়েই তা বেশি হয়ে যায়। যার ফলে রয়ে যায় বাসি ভাত। সেই ভাত পরের দিন আর কেউই মুখে তুলতে চায় না। তাই সেই ভাত ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন এক বিশেষ খাবার, যা বাচ্চা থেকে বুড়ো হাত চেটে খাবে। সেই বিশেষ খাবার হল ইডলি। বা বলা ভালো ভাতের ইডলি। আপনি যদি ভাতের ইডলি বানিয়ে আপনার পরিবারের সদস্যদের সকালের জলখাবারে খাওয়ান, তাহলে বিশ্বাস করুন, প্রতিদিন তারা আপনার হাতের তৈরি ভাতের পরিবর্তে ইডলি খেতে চাইবে। ইডলি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি সুস্বাদু। এভাবে ভাতের ইডলি নাস্তা তৈরি করলে অবশ্যই ইতালি খেতে ভালো লাগবে।

ইডলির উপাদান

আগের দিনের বাসি ভাত - দেড় কাপ

সুজি- ১ কাপ

দই- ১ কাপ

বেকিং সোডা - আধ চা চামচ

লবণ - স্বাদ অনুযায়ী

জল - প্রয়োজন হিসাবে

ইডলি রেসিপি

সকালের নাস্তায় সুস্বাদু ইডলি তৈরি করতে প্রথমে ব্লেন্ডারে দেড় কাপ রান্না করা চাল দিয়ে তাতে এক কাপ জল দিন।

এবার চাল ভালো করে ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।

এবার একটি বড় পাত্রে চাল থেকে তৈরি বাটা স্থানান্তর করুন এবং এটি আলাদা করে রাখুন।

এবার একটি প্যান নিন, তাতে সুজি দিন এবং অল্প আঁচে গরম করুন।

যতক্ষণ না সুজি হালকা গোলাপি হয় এবং সুগন্ধি না হয় ততক্ষণ ভাজুন।

এবার একটি পাত্রে সুজি বের করে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর সুজিতে এক কাপ দই ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চালের বাটাতে যোগ করুন এবং ভাল করে মেশান।

এই পুরো দ্রবণটি ৩-৪ মিনিটের জন্য ভালভাবে বিট করুন যাতে ব্যাটারটি খুব হালকা হয়ে যায়। এর পরে পাত্রটি ঢেকে রাখুন এবং ২০ মিনিটের জন্য দ্রবণটি আলাদা করে রাখুন। এই সময়ে বাটা একটু ফুলে উঠবে।

মিশ্রণে প্রয়োজনমতো জল যোগ করুন এবং একবার বিট করুন। এর পর এতে সামান্য বেকিং পাউডার মিশিয়ে মিশিয়ে নিন।

এবার ইডলি তৈরির জন্য পাত্রে কিছু তেল দিন এবং তৈরি বাটা যোগ করে প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য মাঝারি আঁচে ইডলি ভাপুন।

এই সময়ে ইডলি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে যাবে। এবার একটি পাত্রে রান্না করা ইডলি তুলে নিন।