রং খেলার সঙ্গে মুখমিষ্টি মাস্ট ! কি কি পাতে থাকবে, রইল দোলের সেরা মিষ্টির তালিকা
- FB
- TW
- Linkdin
দোলের মিষ্টি
বাঙালির দোলে আবির আছে, বাদুড় রং আছে, কাদা গোলা জল আছে, আর মুঠো মুঠো মিষ্টি আছে। এবছর রং খেলার সঙ্গে কী কী মিষ্টি মুখে পুরবেন, রইল তার তালিকা।
রসগোল্লা
আশ্চর্য এক গোল্লা সে যে। নাম তার রসগোল্লা। দোল খেলবেন, রং মাখবেন, আর রসগোল্লা খাবেন না!! আপনি কি আদৌ বাঙালি! তাই দোলের মিষ্টির তালিকা রসগোল্লা হল মাস্ট এন্ট্রি।
জিলিপি
রসে ভেজা গরম গরম জিলাপি দেখলেই জিভে জল! আর স্বাদ নিয়ে কিছু না বললেও চলে! দোল আর জিলিপি-এক বৃন্তে যেন দুটি কুসুম। দোলের রঙে নিজেকে চুবিয়ে জিলিপিতে কামড় বসানোর মজা যে জানেন, তিনি এ মর্তেই সপ্তম স্বর্গের স্বাদ পেয়েছেন। কি বলেন!
ছানার সন্দেশ
ছানা ও পনির তৈরির কাজ বাঙালিদের শিখিয়েছে পর্তুগিজরা। তবে ওই সময় বাড়িতে ছানা দিয়ে খাবার তৈরি হতোই না। ছানা তৈরির কাজ শেখার পরই এতে চিনি ব্যবহার করে তৈরি বাঙালির মস্তিষ্কপ্রসূত ‘ছানার সন্দেশ’। এবারের দোলে সবার মুখে পড়ুক এই ছানার সন্দেশ।
ঠাণ্ডাই
হোলির দিন ঠাণ্ডাই মাস্ট। দুধ, চিনি, এলাচ, কেশর ও বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি ঠাণ্ডাই বানিয়ে নিতে পারেন আপনি। বরফ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডাইয়ের উপর গোলাপের পাপড়ি ও বাদামকুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন। দোলের দিন ঠাণ্ডাইয়ের কোনও বিকল্প হয় না।
বোঁদে
বোঁদে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। বেসন তেলে ভেজে সিরাপে ডুবিয়ে রসাল বোঁদে তৈরি করা হয়ে থাকে। তা সে যতই রসালো হোক, দোলের রঙে রসে বশে বোঁদে দারুণ পার্টনার।
গুজিয়া
এর প্রাচীন ও বাঙালি নাম পেরাকি। জানেন কি সেটা! তবে অবাঙালিদের গুজিয়া নামেই সবাই চেনেন একে। দোলের মত রঙের উৎসবে ইনি মুখে মুখে ঘোরেন। তাই দোলে মুখমিষ্টির জন্য গুজিয়া মাস্ট।
ফুটকড়াই
কালচে ভাজা মটরের ওপর চিনির আস্তরণ। মুখে দিয়ে চিবলে কড়মড় করে আওয়াজ হত। ফুটকড়াই ছিল দোল খেলার সময়ের অত্যাবশ্যকীয় আইটেম। সকাল থেকেই মুঠো ভর্তি আবির আর রং, সঙ্গে মুখ ভর্তি ফুটকড়াই-এই হলো বাঙালির দোল
মট
হলুদ-গোলাপি-সাদা-লাল! কোন রংয়ের কি আকারের মট খাওয়া হবে, তা নিয়ে কাড়াকাড়ি হত বাচ্চাদের মধ্যে। মট মূলত চিনির তৈরি উঁচু শক্ত একটি মিষ্টি । মোমবাতি,ফুল, পাখি-সহ বিভিন্ন আকারের আর বৈচিত্রের মট পাওয়া যেত দোকানে। দোলের সকালের পূর্ণিমা পুজোয় মট ছিল প্রসাদী থালায় রাখা অবশ্যম্ভাবী মিষ্টি।
মালপোয়া
দোলে মালপোয়া খেলেন না তো কি করলেন বলুন তো। ইনি হলেন বঙ্গ হেঁসেলের সর্বঘটে কাঁঠালি কলা। ঝটপট তৈরি করা যায় এই মিষ্টি। দোলের দিন কে কখন বলবে “মাসিমা মালপো খামু”, তাই মজুত রাখুন এই মিষ্টি।