সংক্ষিপ্ত

ডায়াবেটিস রোগীদের কম শর্করাযুক্ত, অতিরিক্ত শক্তিহীন কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে ডায়াবেটিস বলে। ডায়াবেটিস রোগীদের কম শর্করাযুক্ত, অতিরিক্ত শক্তিহীন কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। বাদাম এবং শুকনো ফল এই ধরণের খাবারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কোন কোন বাদাম এবং শুকনো ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী তা দেখে নেওয়া যাক।

১. বাদাম

খাবারের আগে চার-পাঁচটি বাদাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাদামে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি হৃদয় এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

২. পেস্তা

পেস্তায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেস্তা কম ক্যালোরিযুক্ত বাদাম। এর গ্লাইসেমিক সূচকও কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে পেস্তা খেতে পারেন।

৩. আখরোট

প্রতিদিন এক মুঠো আখরোট খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়। আখরোটের গ্লাইসেমিক সূচকও খুবই কম।

৪. কাজু বাদাম

ডায়াবেটিস রোগীরা কাজু বাদামও খেতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ কাজু বাদাম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কম গ্লাইসেমিক সূচকের কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ।

৫. চিনাবাদাম

চিনাবাদাম খাওয়াও টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৬. শুকনো ডুমুর

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত শুকনো ডুমুর খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেনে চলুন এই সকল টিপস।