সংক্ষিপ্ত

আসুন জেনে নিই এই সেরা খাবারগুলো সম্পর্কে যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে খুবই সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত।

 

আমাদের শরীরের কোনও অংশে সমস্যা দেখা দিলে তা পুরও শরীরের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। বেঁচে থাকার জন্য শরীরে সঠিক রক্ত ​​সঞ্চালন কতটা জরুরি তা আমরা সবাই জানি। শুধু তাই নয়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে অনেক রোগের সমস্যা শুরু হয় এবং আমরা ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করি।

তাই রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিনের বজায় রাখার জন্য সর্বোত্তম খাবার গ্রহণ করা জরুরি। আসুন জেনে নিই এই সেরা খাবারগুলো সম্পর্কে যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে খুবই সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত।

বিটরুট-

আপনি নিশ্চয়ই কোনও না কোনও সময়ে বিটরুট খেয়েছেন। এটি জুস হিসাবে পান করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করার পাশাপাশি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে কার্যকর বলে মনে করা হয়। যারা সপ্তাহে অন্তত দুবার বিটরুট খান তাদের শরীরে রক্ত ​​এবং হিমোগ্লোবিনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবেন।

ডালিম-

শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে ডালিম খাওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী ডালিম খাওয়া হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে খুবই কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। আপনি চাইলে ডালিমের রসের আকারেও ব্যবহার করতে পারেন।

গাজর-

এটি গাজরের পুডিং এবং সালাদ আকারেও খাওয়া হয়। এটি পানীয় হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কার্যকরী কাজ করতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গাজর খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

টমেটো-

টমেটোতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কার্যকর বলে মনে করা হয়। টমেটো খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পায়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেও কার্যকরভাবে কাজ করে। আপনি চাইলে টমেটো জুস বা স্যুপের আকারেও পান করতে পারেন।

কমলা-

ভিটামিন সি এর অন্যতম প্রধান খাদ্য উৎস হল কমলা। এটি রস আকারে ব্যবহার করা যেতে পারে বা সাধারণভাবে খাওয়া যেতে পারে। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা নিয়মিত কমলা খান তাদের হিমোগ্লোবিনের সমস্যার ঝুঁকি কয়েকগুণ কমে যায়।

গুড়-

গুড়কে লৌহের একটি প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এর প্রকৃতিও উষ্ণায়ন করে। গলা ব্যথা এবং সর্দি হলে আদা দিয়ে খেতেও ব্যবহার করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে গুড় খাওয়া রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায় এবং হিমোগ্লোবিনের সমস্যা দূর করতেও দারুণ ভাবে সাহায্য করতে পারে।

কিশমিশ-

সারারাত ৫-৬ টা কিশমিশ এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে এই জল পান করলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যাদের অ্যানিমিয়া বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব কম তারা এই উপায়ে খুব দ্রুত রক্তাল্পতা দূর করতে পারেন।