- Home
- Lifestyle
- Food
- আপনার প্রিয় এই ১০ খাবার, যা প্রতিদিন আপনাকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে
আপনার প্রিয় এই ১০ খাবার, যা প্রতিদিন আপনাকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে
- FB
- TW
- Linkdin
আজকাল মানুষ খাবারের বিষয়ে খুব শৌখিন। অনেকেই নতুন নতুন জায়খায় থেকে খাবার খেতে খুব পছন্দ করেন। খাবারের জন্য প্রচুর টাকা খরচও করেন। কিন্তুর বিষয়টা হল এই বাইরে খাবারের অভ্যাসের কারণেই ক্লান্তি, দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা, দুর্বল হাড়, এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিচ্ছে থেকে প্রায় সবাই ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, রক্তশূন্যতা, ভিটামিনের অভাব এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে ভুগছেন।
প্রচুর টাকা খরচ করে খাবারও খাচ্ছেন আবার তার জন্য হওয়া রোগের চিকিৎসাতেও কারি কারি টাকা খরচ হচ্ছে। বর্তমানে ৩০-৩৫ বছর বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে বার্ধক্যের সমস্ত লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে। সামান্য কাজ করার পরেও শরীর প্রতিক্রিয়া দেখায়, মানুষ যৌন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এই সমস্ত সমস্যা কেন হচ্ছে? এর সোজা উত্তর হল আপনার প্রতিদিনের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস। আগে মানুষ ঘরের তৈরি খাবার খেতেন, যা তাদের শরীরে শক্তি জোগাত। এখন চাল আটা গুড়ের বদলে চিনি, ময়দা, তেল, লবণ ইত্যাদি বেশি খাওয়া হচ্ছে।
এই জিনিসগুলো অতিরিক্ত খাদ্যে থাকলে শরীরকে ভেতর থেকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে। আমরা আপনাকে এমন কিছু খাবারের জিনিসের বিষয়ে জানাচ্ছি যা আপনাকে শুধু দুর্বলই করে না বরং আপনাকে মারাত্মক রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
প্যাকেজড স্ন্যাকস-
ইনস্ট্যান্ড নুডলস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোডিয়াম বেশি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এতে স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং হার্ট ফেইলিউর ধরণের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিপস, কুকিজ এবং রেডি-টু-ইট খাবারে সাধারণত চিনি ও চর্বি অতিরিক্ত বেশি থাকে। এই খাবারগুলি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, স্থূলতা এবং পুষ্টির ঘাটতির দিকে নিয়ে যায়। যার ফল হল দুর্বলতা।
ট্রান্স ফ্যাট এবং কৃত্রিম সুইটেনার্স
কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ, বিস্কুট, আইসক্রিম, বার্গার এবং রুটির মতো জিনিসে ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়। তারা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়ায় এবং ভাল কোলেস্টেরল (HDL) কমায়। এগুলি হৃদরোগ, প্রদাহ এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করে। কৃত্রিম মিষ্টি অন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। এটি ওজন বৃদ্ধি এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
পরিশোধিত শস্য এবং ডিপ ফ্রাই খাবার-
আজকাল ময়দা অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। ময়দার রুটি, পেস্ট্রি এবং পাস্তা, সমোসা ইত্যাদি মিহি ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়। এগুলিতে কোনও পুষ্টি এবং ফাইবার থাকে না। এগুলো ব্লাড সুগার বাড়ায় এবং হার্টের জন্যও খুব বিপজ্জনক।
এগুলোর অত্যধিক খাওয়ার ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ওজন বৃদ্ধি এবং মেটাবলিক সিনড্রোম হতে পারে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন এবং অন্যান্য ভাজা খাবার ট্রান্স ফ্যাট এবং অ্যাক্রিলামাইড তৈরি করতে পারে। তাদের নিয়মিত খাওয়ার ফলে হৃদরোগ, স্থূলতা এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন অনুসারে, নাইট্রেট এবং নাইট্রাইটগুলি বেকন, সসেজ, হট ডগ এবং ডেলি মিটের মতো খাবার তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে এই জিনিসগুলি কার্সিনোজেনিক যৌগ তৈরি করতে পারে। এগুলো নিয়মিত খাওয়ার ফলে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মিষ্টি পানীয়
সোডা, এনার্জি ড্রিংকস এবং মিষ্টি রসের মতো পানীয়গুলি পরিশোধিত চিনিতে পূর্ণ। এগুলো রক্তে শর্করা বাড়ায়, ওজন বাড়ায় এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এই জিনিসগুলির অতিরিক্ত সেবন স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার এবং হৃদরোগের মতো সমস্যার সঙ্গে যুক্ত।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং BPA সহ প্যাকেটজাত খাবার
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন লিভার, হার্ট এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। দীর্ঘস্থায়ী ভারী মদ্যপানের ফলে লিভারের রোগ, ক্যান্সার এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।
অনেক টিনজাত খাবার BPA দিয়ে তৈরি করা হয়, এমন একটি রাসায়নিক যা খাবারে প্রবেশ করতে পারে এবং অন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বন্ধ্যাত্ব এবং ক্যান্সারের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।