সংক্ষিপ্ত
ঋতুস্রাবের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া উপায় যেমন আদা-তুলসী চা, গরম জলের ব্যাগ, মৌরির দল, হলুদ দুধ, আজওয়াইন-গুড়ে মিলবে উপকার।
ঋতুস্রাবের ব্যথা বা পিরিয়ড ক্র্যাম্প একটি খুবই সাধারণ সমস্যা। মেয়েদের প্রতি মাসে এই ব্যথার সম্মুখীন হতে হয় এবং এটি কমাতে তারা বিভিন্ন ধরণের ওষুধ খান। কিন্তু আপনি এটি কমাতে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যা কেবল নিরাপদই নয়, বরং খুবই কার্যকরী। এখানে জেনে নিন ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া টিপস, যেগুলো আপনি সহজেই বাড়িতে চেষ্টা করতে পারেন।
১. আদা-তুলসী চা
এক কাপ জলে ১ চা চামচ কুঁচি করা আদা এবং ৪-৫ টি তুলসী পাতা দিন। এটি ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে পান করুন। দিনে ২ বার পান করলে আরাম পাবেন। আদা এবং তুলসীতে প্রদাহ-বিরোধী গুণ রয়েছে, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. গরম জলের ব্যাগ
গরম জলের ব্যাগ পেটের নিচের অংশে রাখুন। এটি ১০-১৫ মিনিট রাখুন এবং দিনে ২-৩ বার এই পদ্ধতিটি করুন। এর সুবিধা হলো, উষ্ণতা পেট এবং পিঠের পেশীগুলিকে আরাম দেয়।
৩. মৌরি জল
মৌরি হজমশক্তি উন্নত করে এবং ঋতুস্রাবের ব্যথা কমায়। আপনি এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ মৌরি দিন এবং ফুটিয়ে নিন। এটি ছেঁকে হালকা গরম পান করুন। ঋতুস্রাবের সময় প্রতিদিন ২ বার পান করুন।
৪. হলুদ দুধ
হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন প্রদাহ-বিরোধী, যা ব্যথা এবং প্রদাহ কমায়। এক কাপ গরম দুধে ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মেশান। এটি ঘুমানোর আগে পান করুন। এর নিয়মিত সেবনে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. আজওয়াইন এবং গুড়ের ক্বাথ
আজওয়াইন গ্যাস এবং খিঁচুনি কমায়, যখন গুড় শরীরকে শক্তি দেয়। আপনি এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ আজওয়াইন এবং ১ চা চামচ গুড় দিন। এটি ফুটিয়ে হালকা গরম পান করুন। এটি দিনে ১-২ বার পান করুন।
৬. নারকেল জল
এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ব্যথা কমায়। তাজা নারকেল জল পান করুন, বিশেষ করে ঋতুস্রাবের প্রথম ২ দিনে। এটি দিনে ২ বার পান করলে আরাম পাবেন।
৭. যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং
যোগব্যায়ামের ভঙ্গিমা পেশীগুলিকে আরাম দিয়ে ব্যথা কমায়। বালাসন (Child Pose): পেটের ব্যথা কমায়। সেতু বন্ধাসন (Bridge Pose): রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ৫-১০ মিনিট এই ভঙ্গিমাগুলো করুন।