সংক্ষিপ্ত
হাড়ের ব্যথা এবং ফোলাভাবের কারণ এবং সুস্থ হাড় বজায় রাখার ৭টি সহজ উপায়। এর মধ্যে রয়েছে সঠিক ওজন বজায় রাখা, ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জল পান এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।
মানবদেহে দুটি হাড়ের সংযোগস্থলকে জয়েন্ট বলা হয়। আমাদের প্রতিটি নড়াচড়ার জন্য শরীরের হাড়ের সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হাঁটা, ওজন তোলা, খেলাধুলা ইত্যাদিতে শরীরের হাড়ের জয়েন্টগুলি বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু কিছু কারণে এই জয়েন্টগুলিতে ব্যথা বা ফোলাভাব দেখা দিলে তা একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে।
সুখী জীবনের জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনকে শান্ত রাখার মাধ্যমে মানসিক সুস্থতা অর্জন করা যায়। অন্যদিকে, শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং হাঁটাচলা অপরিহার্য। প্রতিদিন এগুলি করে সুস্থ জীবনযাপন করতে হলে আমাদের জয়েন্টগুলিকে শক্তিশালী রাখতে হবে। কিন্তু বর্তমান জীবনযাত্রা, কাজের চাপ ইত্যাদি কারণে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব শুরু হয়ে অবশেষে গাঁটের ব্যথা (arthritis) দেখা দেয়।
সুস্থতার কিছু উপায়:
এভাবে শারীরিক সুস্থতাকে ব্যাহত করে এমন গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কিছু উপায় আছে। ৭টি পদ্ধতি অনুসরণ করে হাড় সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা যায়।
সঠিক ওজন:
আমাদের বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অতিরিক্ত ওজন হলে কোমড়, হাঁটু ইত্যাদি শরীরের ওজন বহনকারী প্রধান জয়েন্টগুলিতে সমস্যা হয়। এর ফলে গাঁটের ব্যথা হয়।
শারীরিক শ্রম জরুরি:
আজকের আধুনিক যুগে, সবকিছুই ডেস্ক জব হয়ে গিয়েছে। শারীরিক শ্রমের জন্য সুযোগ এবং শক্তি দুটোই কমে গিয়েছে। কিন্তু হাড়কে সুস্থ রাখতে শরীরকে সর্বদা সক্রিয় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওজন তোলা ইত্যাদি ভারী ব্যায়াম করতে না পারলে সাইকেল চালানো, হাঁটা, জগিং ইত্যাদি ছোট ছোট ব্যায়ামের মাধ্যমেও সুস্থতা বজায় রাখা যায়।
হাড়ে চাপ না দেওয়া:
হাঁটা, দাঁড়ানো বা বসার সময় আমাদের শরীরের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। শরীরের একটি অংশে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে বাঁকা হয়ে দাঁড়ালে পিঠ এবং কোমরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাই সোজা হয়ে দাঁড়ানো ভালো।
প্রদাহ বিরোধী খাবার:
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ, আখরোট ইত্যাদি খাবার, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ দুধ এবং সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি প্রদাহ বিরোধী খাবার বেশি খেলে হাড়ের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
আঘাত থেকে সাবধান:
দ্রুতগতির এই জীবনে অমনোযোগিতার কারণে আমরা অনেক সময় আঘাত পেয়ে থাকি। খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহীদের জন্য আঘাত স্বাভাবিক। তাই প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং জুতা পরিধান করে খেলাধুলা করা উচিত।
জল:
মানবদেহের সুস্থ কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য। শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে শরীর সুস্থ থাকে।
মানসিক চাপ:
মানসিক চাপ মানসিক সুস্থতার সাথে সাথে শারীরিক সুস্থতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা যায়।
হাড় মজবুত করার খাবার:
হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সবুজ শাকসবজি, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা, মাছ, দুধ, টফু ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া উচিত।
এবার থেকে মেনে চলুন এই সকল নিয়ম। এতে হাড় হবে মজবুত। তেমনই জয়েন্টের ব্যথা থেকে দ্রুত মিলবে মুক্তি।