সংক্ষিপ্ত

জরায়ু মুখের ক্যান্সার। মহিলাদের মধ্যেই বেশেষ করে দেখা যায়। এর কারণে মহিলদের মৃত্যুও হতে পারে।

 

অন্তবর্তী বাজাটে মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সসার প্রতিরোধে HPV টিকাকরণের ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন বাজেটে নির্মলা ঘোষণা করেছেন, ৯-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের সাভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা দেওয়ার ওপর বিশেষ জোর দেবে সরকার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সী ৫১১.৪ মিলিয়ন মহিলা সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারঃ

জরায়ু মুখের ক্যান্সার। মহিলাদের মধ্যেই বেশেষ করে দেখা যায়। এর কারণে মহিলদের মৃত্যুও হতে পারে। অসুস্থতার হারও বাড়ছে। HPV ভ্যাকসিন জরায়ু মুখের ক্যান্সার এবং এমনকি অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য অত্যাবশ্যক।

টিকা নেবে কারাঃ

তবে HPV ভ্যাকসিন নিয়ে এই দেশে এখনও পর্যন্ত সচেতনতার অভাব রয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি ৯ বছর বয়স থেকে প্রথম যৌন কার্যকলাপের বয়সের আগে পর্যন্ত দেওয়া যায়। ৩৫-৪৫ বছরের মহিলাদেরও এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। নারী ও পুরুষ উভয়েরই এই টিকার বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই টিকার কারণে জীবনের হুমকি বিশেষভাবে হ্রাস পেতে পারে। ব্যক্তিগত সুরক্ষার আঙিনা ছাড়িয়ে এই টিকা পশুর অনাক্রম্যতা তৈরি করতে পারে। যা ক্যান্সারের মত মারণ রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে।

টিকা নেওয়ার বয়সঃ

বিশেষজ্ঞদের কথায় HPV টিকা নিয়ে এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা নেই। বয়ঃসন্ধিকার ও অল্পবয়স্কদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৯-১৪ বছরের মধ্যে এটি যথেষ্ট কার্যকর। তবে ২৭-৪৫ বছরের মধ্যে এটি অনেক কম কার্যকর। তবে ৪৫ বছরেও এই টিকা নেওয়া যায়। তাতে কোনও ক্ষতি নেই।

টিকার ডোজঃ

HPV ভ্যাকসিন ৯-১৪ বছরের বয়সীদের জন্য দুটি ডোজ প্রয়োজনীয়। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য তিনটি ডোজ কার্যকর। HPV টিকা নতুন HPV সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে কিন্তু বিদ্যমান HPV সংক্রমণ বা রোগের চিকিৎসায় কার্যকর নয়। তবে গর্ভাবস্থায় HPV টিকা দেওয়া হয় না। জরায়ু মুখের ক্যান্সার এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে আরও ভাল সুরক্ষার জন্য মহিলাদের কিশোর বয়সে এই টিকা নেওয়া উচিত।