- Home
- Lifestyle
- Health
- Heart Attack: জিমে ওয়ার্ক আউট করার সময় হার্ট অ্যাটাক কেন হয়? মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে মেনে চলুন চিকিৎসকদের এই পরামর্শ
Heart Attack: জিমে ওয়ার্ক আউট করার সময় হার্ট অ্যাটাক কেন হয়? মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে মেনে চলুন চিকিৎসকদের এই পরামর্শ
- FB
- TW
- Linkdin
দিন দিন মানুষের ব্যস্ততা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েই চলেছে তরুণ-যুবদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। মুহূর্তের মধ্যে আঘাত হেনে মানুষকে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে হার্ট অ্যাটাক। ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগগুলি হৃদরোগকে আরও সম্ভাবনাময় করে তুলছে। এই ভয়ানক বিপদ প্রতিহত করার জন্য চিকিৎসকরা সবার আগে বলছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাকে পরিত্যাগ করার কথা।
হৃদযন্ত্রের জটিলতা এড়িয়ে সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য চিকিৎসকরা বিশেষ কয়েকটি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বারংবার তরুণ যুবক যুবতীদের জিমে ব্যায়াম করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আচমকা অতিরিক্ত ব্যায়াম করাকে দায়ী করে থাকেন। জিমে ব্যায়াম করার সময় বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণগুলি এড়িয়ে যেতে নিষেধ করা হয়।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি কারণ হল অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। যেসব মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খান, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
অনেকেই তাড়াতাড়ি মেদ ঝরানোর জন্য খাবারদাবার না খেয়ে প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাউডার ও ফুড সাপ্লিমেন্ট পাউডার খান। এগুলি আদতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। চিকিৎসকরা সঠিক পরিমাণে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বহু মানুষ জিমে ওয়ার্ক আউট করে শরীর সুন্দর করার চেষ্টার সাথে সাথে স্টেরয়েড গ্রহণ করেন। এই স্টেরয়েড শরীরের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
চিকিৎসকরা জীবনচর্চা থেকে কখনওই ব্যায়াম বাদ দিতে বলেন না। প্রত্যেকটি ২০-৩০ মিনিট ধরে অল্প অল্প করে ব্যায়াম করা উচিত, ঘাম ঝরানো প্রয়োজন। শরীরচর্চা করতে প্রচণ্ড কষ্ট হলে কখনওই তেমন শরীরচর্চা করা উচিত নয়। ব্যায়াম কখনই মৃত্যু ঘটায় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্যায়াম কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বা জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া উচিত। খাবার খেয়ে অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করা প্রয়োজন, এর দ্বারা হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়।
প্রত্যেক মানুষের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনে প্রত্যেক ব্যক্তি অন্ততপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। ঘুম ভালো না হলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় না। ক্লান্ত শরীরকে জিম ওয়ার্ক আউটের মাধ্যমে আরও বেশি কষ্ট দিলে সর্বনাশ হতে পারে।