সংক্ষিপ্ত
রান্নাঘরে থাকা জিরে অনেক অজানা গুণে ভরপুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে জিরের ব্যবহার হয় এবং এটি তরকারি, ডাল এবং আরও অনেক খাবারে স্বাদের ঘ্রাণ বৃদ্ধি করে। স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। জিরেতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। এছাড়াও, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং ফাইবারও এতে পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই, জিরে কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
১. জিরে বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
জিরেতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
২. ওজন কমাতে জিরে
জিরের ব্যবহারে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দ্রুত কমে। এটি খেলে ওজন সহজেই কমে। জিরে শরীরকে ডেটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
৩. পাচনতন্ত্রের জন্য জিরে
পেট এবং পাচনতন্ত্রের জন্য জিরে অত্যন্ত উপকারী। পেটে ব্যথা, অম্বল, ডায়রিয়া জাতীয় সমস্যা কমাতে জিরে খাওয়া উচিত। এক গ্লাস জলে এক চা চামচ ভাজা জিরের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে পেটের অনেক রোগ দূর হবে।
৪. গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী জিরে
জিরে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর, যা গর্ভবতী এবং নব প্রসূতি মহিলাদের জন্য উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ জিরে এবং মধু মিশিয়ে পান করলে শরীর সুস্থ থাকে।
৫. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে জিরে
জিরে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণেই এটি সম্ভব। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন আধা চা চামচ জিরে খান। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও জিরে উপকারী।
এবার থেকে রান্নায় তো দেবেনই সঙ্গে জিরে ভেজানো জল পান করতে পারেন। এতে মিলবে উপকার। জিরে শরীরের জন্য উপকারী। নানান জটিলতা দূর হয় এই জিরের গুণে। মেনে চলুন এই সকল টোটকা।