শীতের মরশুমে দুটো করে ডিম খান, মিলবে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি, জেনে নিন কীভাবে
- FB
- TW
- Linkdin
এই সকল স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ডিম খান। ডিম শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। যা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তাই প্রতিদিন ২ টো করে ডিম খেলে মিলবে উপকার। জেনে নিন কেন শীতের সময় ডিম খাবেন।
শীতের মরশুমে সর্দি, কাশির সমস্যা নতুন নয়। প্রায় সকলেই ভুগে থাকেন এই সমস্যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে ডিম খেতে পারেন। ডিমে প্রোটিন আছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এটি ভিটামিন বি ৬, বি ১২-এ পূর্ণ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। শরীরকে ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হাড় শক্ত করে ডিম। lutein এবং zeaxanthin -র মতো উপাদান আছে ডিমে। আছে অস্টিওজেনিক বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান। এটি হাড় শক্ত করে। শীতকালে হাড়ের সমস্যা যেমন দেখা দেয় তেমনই জয়েন্টে ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দেয়। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ ২টো করে ডিম খান।
ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা দেয় অনেকের শরীরে। শীতের সময় রোদ কম থাকে। এই সময় শরীরে ভিটামিন ডি প্রবেশ কমে যায়। ডিমে ৮.২ mcg ভিটামিন ডি আছে। প্রতিদিন ১০ mcg ভিটামিন ডি গ্রহণ প্রয়োজন। তাই রোজ একটি করে ডিম খান। মিলবে উপকার।
ভিটামিন বি ১২-র অভাব পূরণ করতে খেতে পারেন ডিম। ০.৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি ১২ আছে একটি সেদ্ধ ডিমে। শরীরে ভিটামিন বি ১২-র অভাব পূরণে খেতে পারেন ডিম। রোজ ২টো করে আস্ত জিম খেলে মিলবে উপকার। তাই স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে রোজ ডিম খান।
শীতের সময় চুল পড়ার সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডিম খেতে পারেন। ডিমে বায়োটিন আছে। যা চুল মজবুত করে। সঙ্গে নখ শক্ত করে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। সুস্থ থাকতে খেতে পারেন ডিম। রোজ খাদ্যতালিকায় ২টি করে ডিম রাখুন। মিলবে উপকার।
একটি ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি। কর্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট ৯.৫১ গ্রাম। এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম। এছাড়াও, ভিটামিন এ, ডি, ই বি ১২, আয়রন, কোলেস্টেরল ও কোলিনের মতো উপাদান থাকে। সুস্থ থাকতে প্রায় সকলেই রোজ প্রাতঃরাশে ডিম খেয়ে থাকেন।
তবে, অধিক ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যহানীর কারণ হতে পারে। পরিপাকতন্ত্রে ক্ষতি হয় অধিক ডিম খাওযার জন্য। অনেকেই সকালে, দুপুরে ও রাতে তিন বার করে ডিম খান। কিন্তু, জানেন কী ডিম খেতে পেটে ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে। এটি শরীরে সমস্যা তৈরি করে। তাই অধিক ডিম না খাওয়াই ভালো।
আমাদের দিনে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন। কিন্তু, এর অর্ধেকের বেশি থাকে ডিমে। তাই নিত্যদিন বেশি মাত্রায় ডিম খাওয়া উচিত নয়। এতে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল। হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে বেশি মাত্রায় ডিম খেলে।
এবার থেকে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস। শারীরিক জটিলতা দূর করতে নিয়মিত ২টো করে ডিম খান। তবে, ২টোর বেশি ডিম খাবেন না। এতে হতে পারে স্বাস্থ্যহানী। অধিক ডিম খাওয়া নানান রোগের কারণ হতে পারে। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস।